পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জে আদিবাসীদের সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণে ঘাপলা ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিতরণকৃত নিম্নমানের সেলাই মেশিনগুলো নষ্ট হওয়ায় সেগুলো মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে ফেরত দিতে এলে তা নেয়া হয়নি। সোমবার ওই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার আদিবাসী মহিলাদের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ৩০ দিনের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। মাসব্যাপী ওই প্রশিক্ষনে ১০ জন আদিবাসী মহিলা অংশগ্রহন করে। তাদেরকে প্রতিদিনের খাবার বা নাস্তা, যাতায়াত ভাড়া ও উপকরন দেয়া হয়নি। দুরদুরান্তের আদিবাসী মহিলারা উপজেলা সদরে প্রশিক্ষন নিতে এসে প্রতিদিন তাদের প্রায় ২’শ টাকা করে ব্যয় হয়েছে বলে প্রশিক্ষানার্থী পুষ্প লিন্ডুয়ার, সুষ্মিতা কুজুরসহ কয়েকজন জানায়।

প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের প্রত্যেককে ১টি করে সেলাই মেশিন দেয়া হলেও মেশিন দিয়ে কোনভাবেই তারা কাজ করতে পারছেনা। ফলে বাধ্য হয়ে পাঁচগাছী ইউনিয়নের আমোদপুরের সুষ্মিতা কুজুর, চৈত্রকোল ইউনিয়নের বাসুদেবপুরের পুষ্প লিন্ডুয়ার, খালিশা গ্রামের ফাতেমা রানী খা খা ও সুবর্না, টুকুরিয়া ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ীর ববিতা রানী প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুর থেকে সেলাই মেশিন নিয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু মেশিনগুলো অফিসে না নেয়ায় উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সদরের পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বাসায় রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মল্লিকা পারভীন বলেন- প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য উপকরন দেয়া হয়েছে। তবে সহায়ক খরচের বরাদ্দ কম ছিল। সেলাই মেশিনগুলো নষ্ট হলে সেগুলো ফেরত দিয়ে নতুন নেয়া হবে।

(জিকেবি/এএস/জুন ১৩, ২০১৬)