রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কেরোয়া ইউনিয়নের জোড়পুল এলাকার একই পরিবারের মহিলা ও শিশুসহ ৫ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি এই রমজানেও অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এক বেলা খেলে অন্য বেলা তাদের থাকতে হয় উপোষ। তারা সবার সহযোগিতা নিয়ে দুই বেলা খেয়ে বেঁচে আছেন। কিন্তু স্বপ্ন তাদের কাছে এখনো অধরা।

জানা গেছে, উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের লামছরী গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হাফেজ মোঃ ইসমাইল (৪৮)। তার ৩ ছেলে ও ১ বোন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। বড় ছেলে রহমত উল্যা (২৫) জন্মগতভাবেই অন্ধ। তৃতীয় ও চতুর্থ ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি আয়াত উল্যা (২১) ও নেয়ামত উল্যা (১০)। হাফেজ ইসমাইলের শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বড় বোন কুমারী আমেনা বেগম (৫৩)। তিনি ইসমাইলের সংসারে থাকেন। ইসমাইলের বাবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হাফেজ মোঃ কেরামত আলি প্রায় ১১ বছর আগে ফ্যারালাইজড ও মা দৃষ্টি প্রতিবন্ধি রোমানা বেগম তিন বছর আগে খাদ্যনালী শুকিয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যায়।

গৃহকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, অভাবই তাদের নিত্য সঙ্গী। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদই তাদের ভরসা। এই রমজানেও অনেক সময় সেহেরি না খেয়ে রোজা রাখতে তাদের। তিনি আরো জানান, অর্থ সংকট মাথায় নিয়ে প্রতিদিন ভোরে তার পরিবারের ঘুম ভাঙ্গে। তাদের পরিবারে রোজগার করার মত কেউ নেই। এজন্য তাদের অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হয়। সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা সু-দৃষ্টি দিয়ে তাদের ফিতরা ও যাকাতের অর্থ দিলেই তারা বেঁচে থাকতে পারে।

কেরোয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি পরিবারটির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় সময় কিছু না কিছু বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। ওই পরিবারের দুইজন প্রতিবন্ধি ভাতা পায়। তারপরও তাদের জন্য পরিষদ ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।

তাদের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোঃ আয়াত উল্যা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৩৮৪৮, ইসলামী ব্যাংক, রায়পুর শাখা, লক্ষ্মীপুর, মোবাইল : ০১৭২৭৫৬০৪৩৭।

(পিকেআর/এএস/জুন ১৪, ২০১৬)