গোলাম কবির বিলু, পীরগঞ্জ (রংপুর) : পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেশিনপত্র, যন্ত্রপাতি, এ্যাম্বুলেন্স ভাল থাকলেও সেগুলো চলে না। অলস পড়ে থাকায় ওইসব জিনিসপত্র নষ্ট হতে চলেছে। ফলে কমপ্লেক্সটিতে আসা রোগীরা উল্লেখিত যন্ত্রপাতির সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে বাহিরে সেবা নিতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতারিতও হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পীরগঞ্জের প্রায় ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে। এখানকার এ্যাম্বুলেন্স, এক্স-রে, আলট্রাস্নোগ্রাম, ই.সি.জিসহ রোগ নির্নয়ে পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর ধরে নষ্ট কিংবা অকোজো হয়ে পড়ে থাকতো। মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হতো না বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।

এমনকি উন্নতমানের যন্ত্রপাতি থাকলেও অপারেশন থিয়েটারটিও কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমপ্লেক্সটির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান- মেশিনপত্র, যন্ত্রপাতি এবং যানবাহনগুলো সচল রয়েছে বটে। কিন্তু উল্লেখিত বিষয়ে দক্ষ জনবল সংকটের কারণে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ওইগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাবরই লেখালেখি করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কমপ্লেক্সের এক্স-রে, আলট্রাস্নোগ্রাম ভাল থাকলেও কোন কাজেই আসছে না। অলস পড়ে আছে। কমপ্লেক্সের আলট্রাস্নোগ্রামটি থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই আরএমও (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডাঃ জিয়াউর রহমান কমপ্লেক্সের গেটের বাহিরে কয়েকটি প্যাথলজিতে বসে নিয়মিত আলট্রস্নোগ্রামের রিপোর্ট লিখছেন বলে একাধিক রোগীর সূত্রে জানা গেছে।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ব্যবহারের জন্য ১টি গাড়ী এবং ২ টি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য চালক রয়েছে মাত্র ১ জন। ফলে ২টি গাড়ী পড়ে থাকছে। অভিযোগ রয়েছে, কৌশলে মেশিনপত্রগুলো অকার্যকর করে রেখে কমপ্লেক্সের বাইরের প্যাথলজি ও মাইক্রোবাসকে ব্যবসায় করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কমপ্লেক্সটি ঘিরে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসাও গড়ে উঠেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. মোখলেছুর রহমান বলেন- টেকনিশিয়ানের সংকটের কারণে মেশিনপত্র চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি সরকারীভাবে আমাকে দেয়া গাড়ীটাও ব্যবহার করতে পারছি না। এ্যানেসথেসিয়াসিষ্ট না থাকায় অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে।

(জিকেবি/এএস/জুন ১৪, ২০১৬)