নিউজ ডেস্ক : গত কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। কদমও ফুটেছে। তবে দিন গণনার হিসাবে বর্ষা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। বৈষ্ণব কবির ভাষায়- আজ ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘমাশ্লিষ্ট সানুং’..। পঞ্জিকার অনুশাসনে আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের রুদ্র দহন ছিন্ন করে বর্ষার দিন এলো।

তৃষ্ণা কাতর জগত সংসার এ বর্ষায় ফিরে পায় প্রাণের স্পন্দন। পুরো প্রকৃতি তার রূপ ও বর্ণ বদলে ফেলে। বর্ষায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাউল হৃদয় ময়ূরের মতো নেচে উঠত। তিনি গেয়েছেন, ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে, ময়ূরের মতো নাচেরে, আকুল পরান আকাশে চাহিয়া উল্লাসে কারে যাচে রে..। ‘ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে/জল সিঞ্চিচ ক্ষিতি সৌরভ রভসে/ ঘন গৌরবে নবযৌবনা বরষা।’

আবার এলো আষাঢ়। রূপময় ঋতু বর্ষার প্রথম দিন আজ। ঋতুচক্রের হিসাবে আষাঢ়-শ্রাবণ বাংলায় দুই মাস বর্ষাকাল। চিরকালই আষাঢ় সাজে নানা রূপে। বৃষ্টির ধারায় নবতর জীবন আসে পুষ্প-বৃক্ষে, পত্রপল্লবে, নতুন প্রাণের সঞ্চার করে প্রকৃতির অবয়বে।

রিমঝিম এ বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দে কাটে বাঙালির শৈশব। সুখস্মৃতিগুলো মনে রেখেই প্রতি বছর বর্ষাকে বরণ করে নেয় বাঙালি। বিশেষ করে শহরে নগরে হরেক আয়োজনে চলে বর্ষাবন্দনা। সব মিলে বর্ষা কেবল ঋতু নয়, বাঙালি সংস্কৃতির অংশ।

বর্ষার সতেজ বাতাসে জুঁই, কামিনী, বেলি, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা আরও কত ফুলের সুবাস। উপচে পড়া পুকুরে রঙিন হয়ে ফোটে পদ্ম, সে কেবলই বর্ষাকে পাওয়ার জন্য। কেয়ার বনেও কেতকীর মাতামাতি। কত না মধুর এই বর্ষা।

(ওএস/এএস/জুন ১৫, ২০১৬)