বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা অসংখ্য কোচিং সেন্টার গড়ে তুলে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব স্কুলের শিক্ষকদের গড়ে তোলা কোচিং সেন্টারে  ছেলে মেয়েদের না পড়ালে তাদের ফেল পর্যন্ত করিয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আকষ্মিকভাবে এসব শিক্ষকদের গড়ে তোলা কোচিং সেন্টারে অভিযান চালালে তাদের থলের বেড়াল বেরিয়ে আসে। অভিযানে খবর পেয়ে কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকরা দ্রুত সটকে পড়েন। যারা এই কোচিং বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন অভিযান মাধ্যমিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। পরে তিনি আইসিটি প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের কোচিং না করতে আহবান জানান।

বাগেরহাট সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষক শহরের দশানী যদুনাথ ইনষ্টিটিউট, সম্মিলন স্কুলের মোড়, পুরাতন পুলিশ লাইনের পেছনে, বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, আমলাপাড়া এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব কোচিং সেন্টার গড়ে তুলে বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে যে অভিযান শুরু হয়েছে। তা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে কোচিং সেন্টারে পড়ি। ক্লাসে ঠিক মতো পড়ালেখা হলে কোচিং সেন্টারে পড়ার প্রয়োজন হয়না। কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

খুলনাঞ্চলের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক টি এম জাকির হোসেন বলেন, বুধবার ভোর থেকে আমরা বাগেরহাটের কোচিং বানিজ্য বন্ধের জন্য সেন্টারগুলোতে অভিযান শুরু করেছি। যেসব শিক্ষকরা এই কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া জেলা ও উপজেলাগুলোতেও কোচিং বাণিজ্য বন্ধের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে ব্যাপক বরাদ্দ দিয়েছে। শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুন করেছে। যারা এই কোচিং বাণিজ্যের সাথে তাদের বিরুদ্ধে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে জেলা পর্যায়ে কমিটি রয়েছে।

(একে/এএস/জুন ১৫, ২০১৬)