আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):হাসপাতালের তিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ক্লাবে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। ফলে, রক্তের প্রয়োজনে আসা রোগীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। রক্ত না পেয়ে ছোটাছুটি করছেন এদিক সেদিক, পড়ছেন দালালদের খপ্পরে। এদিকে, তিনটি ক্লাবে আগে থেকে থাকা শতাধিক ব্যাগ রক্ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্লাব সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো হচ্ছে-সন্ধানী, মেডিসিন ক্লাব ও রেড ক্রিসেন্ট।

সূত্রমতে, গত ১২ জুন হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট ক্লাবের একটি কমিটি অনুমোদন দেয় কলেজ অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা ও পরিচালক ডা. এস.এম সিরাজুল ইসলাম। ক্লাব মেম্বার ব্যতীত ছাত্রলীগ নামধারীদের দিয়ে সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই কমিটি গঠণ করার অভিযোগে ক্লাবের সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাজিদুল করিম ও সম্পাদক এফএম ইয়াহিয়া ক্লাবের সদস্যদের দিয়ে অপর একটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দিলে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। ফলে কলেজ অধ্যক্ষ প্রথমে রেড ক্রিসেন্ট ক্লাবের কার্যক্রম ও পরবর্তীতে হাসপাতালের অপর দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেডিসিন ক্লাব ও সন্ধানীর কার্যক্রমও সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। গত চারদিন ধরে ক্লাবগুলো বন্ধ থাকায় তিন ক্লাবে থাকা ১’শ ব্যাগ রক্ত নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্লাব সদস্যরা।

সন্ধানী ক্লাবের সভাপতি রাজিব হোসেন জানান, অন্য ক্লাবের ঝামেলার জন্য তার ক্লাবের কাউকে কিছু না জানিয়ে কলেজ প্রশাসন মেডিসিন ক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দেয়িছে। ক্লাবের ভেতরে থাকা রক্ত নষ্ট হওয়ার পথে। একই কথা জানিয়ে মেডিসিন ক্লাবের কৌশিক জানান, তাদেরকে কিছু না জানিয়ে ক্লাবে তালা দিয়েছে প্রশাসন। যেকারণে ক্লাবের ভেতরে থাকা রক্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় রোগীরা এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কলেজ অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা জানান, রেড ক্রিসেন্ট নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। অন্য দুটি ক্লাবের সবকিছু সেন্ট্রাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই রোগী ও ক্লাব মেম্বারদের দিক বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো খুলে দেওয়া হবে।

(টিবি/এস/জুন ১৬,২০১৬)