আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী (৪০) কথা বলতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিনি কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সরফুজ্জামান রুবেল। তিনি আরও জানান, রিপন চক্রবর্তীর অবস্থা এখন পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পোষ্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থেকে বের করে রিপন চক্রবর্তীকে সিটিস্ক্যান ও এক্স-রে করার জন্য নেয়া হয়। ডা. রুবেল আরও বলেন, পরীক্ষাগুলোর ফলাফর পাওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নিবেন রিপনের মুখে খাবার দিবেন কিনা। বুধবার রাতে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই রিপন চক্রবর্তীর জ্ঞান ফিরে। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কথা বলতে শুরু করেন। তবে রোগীর অবস্থার কথা বিবেচনা করে পোষ্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিলো। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক রুবেল আরও বলেন, মাদারীপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় রিপন চক্রবর্তীতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আনার পর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা অস্ত্রোপাচার করা হয়েছে। প্রভাষক রিপনের মাথা, ঘাড়ে ও হাত মিলিয়ে সাতটি কোপ রয়েছে। রিপনের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে। একসময়ের বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনে বুধবার রাতেই শেবাচিমে ছুঁটে আসেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ জিয়াউল হক, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ইমানুল হাকিমসহ তার (রিপন) সহকর্মীরা। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, নিরিহ শিক্ষককে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করা এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অধ্যাপক রিপন চক্রবর্তীর গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রামে। তার স্ত্রী গৌরনদী উপজেলার পালরদী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষিকা মনিমালা রায় বলেন, তার স্বামীর সাথে কারও কোন শক্রতা নেই। শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী সঞ্জয় কুমার পাল জানান, মেধাবী রিপন আগে এলাকায় বসে মন্দিরের পুরোহিতের কাজ করতেন।


(টিবি/এস/জুন ১৬,২০১৬)