বাকৃবি প্রতিনিধি : কয়েকটি হলে বোমা রাখা হয়েছে এমন খবরে শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের মোবাইলে এ সংক্রান্ত খুদেবার্তা আসাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ০১৭৯৭-০১৭৮৫১ নম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মোবাইলে পাঠানে খুদেবার্তায় বলা হয়, ‘মাননীয় স্যার, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সত্য খবর। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি আবাসিক হলের মধ্যে ৫টিতে বোমা রাখা আছে। তার মধ্যে একটি ছাত্রী হল ও বাকী চারটি ছাত্রদের হল।

ছাত্রীদের হলে মাটির নিচে বোমা রাখা আছে। ছাত্রদের দুটি হলে মাটির নিচে ও আর বাকি ২টি হলের অজ্ঞাত স্থানে বোমা রাখা আছে। ভিসির বাসভবন ও প্রশাসনিক ভবনেও থাকতে পারে সেই শক্তিশালী বোমা। আর ইতোমধ্যে একটি ছেলেকে গুম করা হয়েছে যে এই কাজটি করেছে। দয়া করে দ্রুত হল বন্ধ করে স্যার আমাদের রক্ষা করেন। আপনারা আমাদের পিতার মত। দয়া করে স্যার আমাদের দ্রুত বাঁচান।’

সূত্র আরও জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ফোনে শুক্রবার রাতে এমন বার্তা পাঠানোর পর শনিবারে দুপুর ১টার দিকে আবারো ওই নম্বর থেকেই আরেকটি বার্তা পাঠানো হয়। দ্বিতীয় খুদেবার্তায় বলা হয়, ‘স্যার এখনও ব্যবস্থা নিলেন না। দেখেন কি হয়।’ খুদেবার্তা পাঠানো মোবাইল নম্বরটি এখন বন্ধ রয়েছে।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খুদেবার্তাটির সত্যতা অনুসন্ধানে আবাসিক হলগুলোতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তবে কোন হল থেকেই তারা বোমা উদ্ধার করতে পারেননি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাবের টহল দলও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে প্রক্টর হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘এটা কারও উদ্ভট কাজ হতে পারে। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।’

(ওএস/এস/জুন ০৭, ২০১৪)