নিউজ ডেস্ক : ওজন কেন বাড়ছে, কী করে ওজন কমানো যাবে এই চিন্তায় ঘুম হারাম হয় অনেকের। ব্যায়াম, ডায়েটিংসহ নানারকম কসরত করেও ওজন হয়তো ততটা কমে না, যতটা আপনি চান। আবার সময় করে নিয়মিত ব্যায়াম করার কিংবা নিয়ম মেনে ডায়েটিং সবার পক্ষে হয়তো সম্ভব হয় না। মজার ব্যাপার হচ্ছে ব্যায়াম বা ডায়েটিং ছাড়াই ওজন কমাতে সক্ষম হবেন যদি আপনি নিচের উপায়গুলো বেছে নেন-

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আসে শারীরিক ক্লান্তি। আর সেই ক্লান্তি কাটানোর উপায় হিসেবে অনেকেই বেছে নেন বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়ার পন্থা। কাজেই খাওয়ার পরিমাণ তথা ওজন কমাতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি।

‘অ্যাপেটাইট’ নামের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মোবাইল গেম নাকি ক্ষুধার অনুভূতি হ্রাস করে। আর ক্ষুধা কমা মানে খাবার পরিমাণও কমে যাওয়া।

‘অ্যাপেটাইট’-এই প্রকাশিত আর একটি গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, মানুষের প্রবণতাই হলো হাতের কাছের খাবারগুলোকে উদরস্থ করা। কাজেই টিভি দেখতে বসার সময় হাতের কাছে যদি আপনি আপেল কুচি রাখেন আর চিপসের প্যাকেটটা রাখা থাকে রান্নাঘরে তাহলে আপেলের টুকরোগুলোই আপনার পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কাজ করতে করতে, ঘুরতে ঘুরতে বা দাঁড়িয়ে খেলে খাওয়ার দিকে আমাদের তেমন মনোযোগ পড়ে না। সেই অমনোযোগের কারণে অনেক সময় আমরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলি। বসে খেলে আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকে খাওয়ার দিকে। কাজেই খাওয়ার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।

এটাও অবাক করার মতো তথ্য। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা ডায়েট কোল্ডড্রিংকস খান তাদের ওজন বাড়ার প্রবণতা থাকে বেশি। কাজেই ওজন কমাতে চাইলে ডায়েট কোল্ডড্রিঙ্কস না খাওয়াই ভালো।

শুনতে অবাক লাগবে, কিন্তু এটা প্রমাণিত সত্য যে, উদ্বেগ বা অবসাদে ভোগা মানুষরা মানসিক শান্তিসম্পন্ন মানুষদের তুলনায় বেশি খান। কাজেই খাওয়া কমাতে হলে কমাতে হবে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও।

কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পানি বেশি পান করেন যারা, তাদের ওজন কমে তাড়াতাড়ি- এক সমীক্ষায় এরকমটাই দেখা গিয়েছে।

(ওএস/এএস/জুন ১৭, ২০১৬)