আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বাধা ও লিখিত নোটিশকে উপেক্ষা করে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কর্তৃক সরকারি খাল দখল করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে বহুতল পাকা ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে আ’লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানডোবা এলাকার সাদ্দাম বাজারের।

সূত্র মতে, বার্থী ইউনিয়নের টরকী নীলখোলা হইতে রাজিহার ভায়া চেঙ্গুটিয়া খালের দক্ষিণ ধানডোবা এলাকার সাদ্দাম বাজারে অতিসম্প্রতি সরকারি খাল দখল করে বহুতল পাকা ভবনের নির্মান কাজ শুরু করেন ধানডোবা গ্রামের মৃত মুনসুর হাওলাদারের পুত্র ও বার্থী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খোকন হাওলাদার (৪৫)।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিন ধরে ওই বিএনপি নেতা এ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। সরকারি খাল দখল করে বহুতল পাকা ভবন নির্মাণের ফলে ভবিষ্যতে ওই এলাকার কৃষকদের সেচ-সুবিধাসহ ফসল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম খালটির প্রসস্ততা কমে ভোগান্তি পোহাতে হবে। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা এ অবৈধ নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করেন। কৃষকদের বাঁধা উপক্ষো করে বিএনপি নেতা নির্মান কাজ অব্যাহত রাখেন। ফলে কৃষকেরা উপজেলা ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি বিষয়টির তদন্তে গিয়ে সত্যতা পাওয়ার পর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে গত ৫ জুন খোকন হাওলাদারকে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করা হয়। ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, নোটিশ পাওয়ার পর ভূমি অফিসের আদেশ উপেক্ষা করে বিএনপি নেতা রাতের আধাঁরে “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ৭নং ওয়ার্ড কার্যালয়, ২নং বার্থী ইউনিয়ন ও অঙ্গসংগঠন” নামের একটি সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে সাদ্দাম বাজারের ব্রিজের গোঁড়ায় ১০ ফুট পাশে এবং প্রায় ২০ ফুট লম্বা বহুতল পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

বার্থী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক খান, ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য আব্দুল খালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কারোর অবৈধ দখলদারিত্ব বজায় রাখতে আ’লীগের নাম ব্যবহার করার বিষয়টি মেনে নেয়া যায়না। বিএনপির সভাপতি হয়ে আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ কাজ করা এক ধরনের ধৃষ্টতা। বার্থী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি লক্ষ্মী কান্ত বৈদ্য বলেন, স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে অবহিত করার পর বিএনপি নেতার এ আপত্তিকর কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সাইনবোর্ড অপসারন করতে বলা হয়েছে।

অভিযোগের ব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খোকন হাওলাদারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

(টিবি/এএস/জুন ১৭, ২০১৬)