পটুয়াখালী প্রতিনিধি :গলাচিপা উপজেলার গোলখালীতে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অসহায় দু’টি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দুই মাস ধরে তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্থানীয় আলমগীর ঘরামী নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

এ বিষয়ে একধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও প্রভাবশালী আলমগীর ঘরামী তা আমলে নেননি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্বিসহ আবদ্ধ জীবন-যাপন করছেন দুলালা ঘরামী ও শাহীন ঘরামীর পরিবার।

পূর্ব গোলখালীর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী আমলগীর ঘরামী বাঁশ ও কাঠের বেড়া দিয়ে ওই এলাকার সমস্ত লোকের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।

এলাকাবাসী রবি তালুকদার, ফারুক মোল্লা, ডলি বেগম জানান, রাস্তা দিয়ে ছাত্র ছাত্রী দীর্ঘদিন থেকে তাদের বাড়ির সামনের একটি রাস্তা দিয়ে মেইন রাস্তায় যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুম আসলেই তারা মানুষ চলাচলের মেইন রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। বেশি কিছু বলতে গেলে এলাকার নিরিহ লোকজনদের হালাম ও মামলা করে হয়রানি করা হয়। বর্ষায় রাস্তার মাঝ খানে কাঠ ও বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে মানুষের হাটার পথ বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মধ্যস্থাতায় অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে অসহায় দুলালা ঘরামী ও শাহীন ঘরামীরর পক্ষে রায় হয়।

দুলাল ঘরামীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, আলমগীল ঘরামী আমকে সবসময় উত্তাক্ত করে এবং বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। আমি উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

এতে আমরগীল ঘরামী চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তার সীমানার বাহিরে গিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বেড়া দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।

দুলালা ঘরামী ও শাহীন ঘরামী জানান, ‘রাস্তা না থাকার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এ জন্য তার সন্তানদের লেখাপাড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তা বন্ধ থাকায় এলাকার বিভিন্ন রোগীর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে স্থানীয় শালিশ আলতাফ ঘরামি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও আলমঘীর ঘরামী ও অলীল ঘরামী কোন সিদ্ধান্তই মানেন না। পরে তিনি দুলাল ঘরামী ও শাহীন ঘরামীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৪৬।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলমগীর ঘরামীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বাপের টাকা দিয়ে কেনা জমিতে আমি কাউকে রাস্তা দেবো না। এজন্য আইন-আদালত যাই হোক আমার সিদ্ধান্তে আমি অনড়।

গলাচিপা থানার ওসি আঃ রাজ্জাক মোল্লা বলেন, জমি যারই হোক, রাস্তা বন্ধ করার অধিকার কারও নেই। তারপরও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু বিষয় তো দেখতেই হয়। বিষয়টির ব্যাপারে অভিযোগ পেলে বেড়া সরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

(আরবি/এস/জুন ১৯,২০১৬)