শেখ আহ্সানুল করিম, বাগেরহাট :ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মংলা-ঘাষিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌ চ্যানেলের খননকৃত বালু মাটি অপরিকল্পিতভাবে চ্যানেল সংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানধীন চিংড়ি খামার ও ফসলি মাঠে ফেলায় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপালে হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারের দেয়া ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করেন। ক্ষতিগ্রস্থ ২শ ৩৪ জন জমির মালিককে তাদের প্রায় ৩শ’৩৩ একর চিংড়ি খামার ও ফসলি জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব কুমার রায় জানান, আর্ন্তজাতিক এই নৌ চ্যানেলের খননকৃত পলি মাটিতে চ্যানেলের দু’পাশের প্রায় ৭ শতাধিক জমির মালিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ব্যাক্তি মালিকানাধির প্রায় সহ¯্রাধীক একর জমি ড্রেজারের বালি-মাটিতে ভরাট হয়ে গেলে কৃষকদের ফসল ও চিংড়ি খামারগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা ১ বছর আগে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৬ মাস পূর্বে ক্ষতিগ্রস্থদের নামে মাত্র ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত ওই টাকা প্রাথমিক ভাবে বাছাইকৃত ২শ ৩৪ জন জমির মালিকের মধ্যে একরে প্রায় ৬ হাজার টাকা করে প্রদাণ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের এই ক্ষতিপূরণ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব কুমার রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদারসহ অন্যরা।

(এসএকে/এস/জুন ১৯,২০১৬)