নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল(৩৫) এর জানাজায় মানুষের ঢল ছিল লক্ষনীয়। শতশত মানুষ সাংবাদিক বিপুলের জানাজায় অংশ নেয়।

রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মরহুম সাংবাদিক বিপুলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানাজায় অংশ নেয় সহপাঠি কলম সৈনিক থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ রেজাউল করিম তানসেন, থানার ওসি হাসান শামীম ইকবাল, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন, এলডিপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, ভাইস চেয়ারম্যান একে আজাদ, জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি, নাগরিক কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, পৌর মেয়র কামরুল হাসান জুয়েল, ভাটগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি জিএম সজল, কাহালু প্রতিনিধি আবু সালেক তোতা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন, উপজেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি প্রভাষক জুলফিকার আলী ভূট্রো, সাধারন সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক, সাংবাদিক আলী আজম, আব্দুল হাকিম, নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, বেনজির আহমেদ, উপজেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহান আলী আকন্দ, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকাল ৪টার দিকে অসুস্থ্য মায়ের ঔষধ নেয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে নন্দীগ্রামে আসার পথে পথিমধ্যে কালিশ-পুনাইল সংলগ্ন ব্রীজ এলাকায় হঠাত মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল গুরুতর আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সাংবাদিক বিপুলের অকাল মৃত্যুর খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নার শ্রোতে ভারি হয়ে আসে বর্ষন গ্রাম। তিনি বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি পিতা-মাতা, দুই ভাই, স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়েসহ অশংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।


(এমএনআই/এস/জুন ১৯,২০১৬)