শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জাজিরা কাজীরহাট বাজারের বিএসটিআইর বিনা অনুমতিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই উৎপাদনের অভিযোগে এক সপ্তাহে দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা হওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি সেমাই উৎপাদন কারখানা। প্রশ্ন উঠেছে বেকারি মালিক হুকুম আলীর খুটির জোর কোথায়।

কাজীরহাট বন্দর কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ কাজীরহাট বাজারে বেকারী ব্যবসার সাথে জড়িত হুকুম আলী শেখ। সুমি ফুড প্রোডাক্ট নামে তার একটি খাদ্য উৎপাদনের কারখানা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন প্রকারের বেকারী আইটেম (বিস্কুট) উৎপাদন করেন তিনি।

২০১৫ সাল থেকে অনুমোদন বিহীন লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন শুরু করেন তার এ বেকারীতে। গত ১১ জুন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিএসটিআইর অনুমোদন না থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই বানানোর অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়। আইন অমান্য করে পরদিন ১২ জুন পুনরায় সেমাই উৎপাদন শুরু করে হুকুম আলী শেখ।

এ সংবাদ জানার পর ১৬ জুন জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুকুল কুমার মৈত্র পূনরায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে হুকুম আলীর ছেলে সুমন শেখকে আটক করে নিয়ে যায়। সুমি ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স প্রাপ্তির পূর্বে আর সেমাই উৎপাদন করবে না মর্মে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় সুমনকে। সুমন ছাড়া পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আবার উৎপাদন করতে থাকে লাচ্ছা সেমাই।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভ্রাম্যমান আদালতে দুইবার জরিমানা করার পরে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক কারিগর নিয়ে তৈরি সেমাই করছে। এখন জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে বার বার আইন অমান্য করে সেমাই উৎপাদন করে যাচ্ছে হুকুম আলী ও তার ছেলে সুমন শেখ, তাদের খুটির জোর কোথায় ?

মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে হুকুম আলী শেখের যোগাযোগ করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কাজীরহাট বন্দর কমিটির সভাপতি চুন্নু কাজী বলেন, বার বার আইন অমান্য করা একজন ব্যবসায়ীর জন্য অশোভন। বিষয়টি আমরা বন্দর কমিটির সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।

জাজিরা উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ফাতেমা আক্তার লাইলী বলেন, সুমি ফুড প্রোডাক্ট বিএসটিআই এর অনুমতি ছারা সেমাই উৎপাদন করছে অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুইবার জরিমানা করার পর তাকে আমরা বার বার নিষেধ করা সত্বেও প্রতিষ্ঠানটি সেমাই উৎপাদন বন্ধ না করে আইনের লংঘন করছে।

(কেএনআই/এএস/জুন ২০, ২০১৬)