নিউজ ডেস্ক : সারাদিন নানা পরিশ্রমের পর শরীরে ক্লান্তি আসাটা স্বাভাবিক। বাড়িতে এসে প্রতিদিন বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে পড়লে নিশ্চয় বাড়ির মানুষ আপনাকে পরিশ্রমী বলবে না? কিন্তু সত্যিকার অর্থেই হয়তো প্রচুর কাজ করেন আপনি। তাই বলে পরিবারের সাথে বাইরে না গেলে প্রশংসা তো জুটবে না! এজন্যেই পরিশ্রমের পরও ক্লান্তিকে দূরে রাখতে হবে। কীভাবে দূরে রাখবেন, তাই নিয়ে এবারের আয়োজন।

* অলস হয়ে পড়লে নির্দিষ্ট কাজ শেষ করায় বেশ দেরি হতে পারে। এরফলে কাজ ক্রমেই জমে উঠবে যা সামলানো সবার জন্যই বেশ কঠিন। তাই যে কোনো কাজ শুরু করার সময় ভবিষ্যত চিন্তা মাথায় রাখুন। পাহাড়সম কাজ নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখতে চাইবেন না! তাই ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ক্লান্তি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সময়ের কাজ সময়েই করুন।

* কাজ খুব বড় আকারের হলে আমরা সাধারণত তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। প্রায় সময়ই ছোট কাজটাকে আগে সেরে বড়টার দিকে ক্লান্তি নিয়ে চেয়ে থাকি। ভাবি শ্রমসাধ্য কাজটি শেষ হতে সময়ও লাগবে প্রচুর। কিন্তু কাজ তো কাজই! এড়ানোর কোনো উপায় তো নেই! তাই কাজ বড় হলেও নিজের সুবিধার জন্য তা ছোট কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন। এতে পরিশ্রম কম হবে, বিরক্তিকরও মনে হবে না।

* বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটিভেশনের অভাবে আমাদের ক্লান্তি পেয়ে বসে। কাজের গুরুত্ব বুঝে তা শেষ করতে হবে, এমন ধারণা নিয়ে কাজটি শুরু করুন। দেখবেন তা শেষও হবে সহজেই। কেননা, ক্লান্তির পেছনে শরীরের পাশাপাশি মনেরও যোগ রয়েছে।

* ক্লান্তি দূর করতে মনকে সতেজ রাখুন। মন যদি আগেই ভেঙে পড়ে তবে যে কোনো কাজই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রচুর পরিশ্রমের পরও মনে যদি ক্লান্তি না আসে তবে শরীরও চাপমুক্ত থাকে অনেকটাই!

* আপনার মন, স্বভাব এবং কাজের প্রভাবে কল্পনার অদৃশ্য তবে শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে। কথাটা কঠিন মনে হলেও বাস্তবে তা অনেক সহজ ও কার্যকর। কোন কাজ শুরু করার আগে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং ভাবুন যে তা সহজেই শেষ করে ফেলতে পারবেন। এবং কাজটি শেষ করার ক্ষমতা আপনার আছে। ইতিবাচক চিন্তা প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জনে সাহায্য করে।

* ক্লান্তির কথা সব সময় ভুলে থাকার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে শুয়ে কিংবা বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে আলস্য আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। ফলে ক্লান্তিও থাকবে দূরে।

* জীবনে যারা সফল হয়েছেন, তাদের কথা সবসময় ভাবুন। তাদের কর্মকাণ্ডকে লক্ষ্য করুন। দেখুন কীভাবে তারা নিজেদের জীবন থেকে আলস্যকে দূরে রেখেছেন। সব সময় জড়িয়ে রেখেছেন কাজের সাথে! ক্লান্তি দূরে রাখতে এমন অনুপ্রেরণারও প্রয়োজন আছে।

* যে কোনো কাজই শেষ না করে উঠবেন না। অথবা কোনো কাজ পারবেন না, এমন ভাবনা মাথায় আনবেন না। এতে আপনার কাজের সাফল্যের মাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সব কাজই কঠিন মনে হবে। তা শেষ করতেও শরীরের তুলনায় মনের শ্রম খরচ হবে বেশি। ফলে ক্লান্তিও দেখা দেবে অল্প পরিশ্রমেই।

(ওএস/এএস/জুন ২০, ২০১৬)