বাগেরহাট প্রতিনিধি: আজ ২১ জুন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের এই দিনে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মারা যান চির তারুণ্যেও কবি রুদ্র। বাংলাদেশের কবিতায় অবিসস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম সেরা কবি’র স্বীকৃতি।

দিনটির স্মরণে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠেখালিতে করি’র বাড়ীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, আজ বিকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করেছে। সন্ধ্যায় রুদ্র সংসদ কার্যালয়ে কবির স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অকাল প্রয়াত এই কবি তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য। সাহস ও স্বপ্নে, শিল্প ও সংগ্রামে আপদমস্তক সমর্পিত এই কবি তার স্বল্পায়ু জীবনকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তারুণ্যের দীপ্র সড়কে। নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে; হয়ে উঠেছিলেন তাদেরই কন্ঠস্বর। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’Ñ এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেনÑ ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাঁকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।

মাত্র ৩৪ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।


(এসএকে/এস/জুন২১,২০১৬)