পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সেই লম্পট প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজল কুমার সরকারকে পীরগঞ্জে বদলী করায় পীরগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সমাজের মাঝে তোলপাড় চলছে। গত ১৮ জুন প্রথম আলো পত্রিকায় ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী ঘটিত খবরটি প্রকাশ হয়েছিল।

জানা গেছে, দিনাজপুরের বিরামপুরের ৮ টি বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষককে নিয়ে স্লিপ কর্মসূচীর আওতায় পৌর শহরের ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষন চলছিলো।

গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে প্রশিক্ষণ চলাকালিন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজল কুমার সরকার ওই স্কুলের এক আয়াকে যৌন হয়রানী করার সময় শিক্ষকরা তাকে হাতেনাতে ধরে লাঞ্চিত করে। পরে শিক্ষকদের তোপের মুখে তিনি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের মধ্যে অন্যত্র বদলী হওয়ার মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান। কিছুদিন আগেও ওই শিক্ষা কর্মকর্তা বিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের একটি স্কুলের এক শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতে ওই শিক্ষিকাকে যৌন হয়ারানী করার চেষ্টা করে লাঞ্চিত হয়ে চলে আসে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উল্লেখিত বিষয়ে গত ১৮ জুন প্রথম আলো পত্রিকায় খবরটি প্রকাশ হয়। লম্পট শিক্ষা কর্মকর্তাকে পীরগঞ্জে বদলী করা হলে পীরগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সমাজের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

পীরগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন- যার কাছে শিক্ষিকাদের ইজ্জত রক্ষা পায় না, আমরা এমন শিক্ষা কর্মকর্তাকে (কাজল কুমার) আমরা চাই না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জানান- লম্পট শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মান রক্ষা করা মুশকিল হবে। পীরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান- ওই স্যারের নারীঘটিত খবরটি এখানকার শিক্ষকরা পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। তাকেই পীরগঞ্জে বদলী করায় অনেক শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকরা আমার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে লম্পট শিক্ষা কর্মকর্তা কাজল কুমারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

(জিকেবি/এএস/জুন ২১, ২০১৬)