উৎসব

কোনো এক ফালগুণে বসন্ত নিয়ে আসে রূপালী আলো।
গাছেদের ডালপালা জন্মবার আগেই পালকেরা হাওয়ায় ভাসে।
ছত্রাকেরা মরতে থাকে কিশোরী বিকালে।

ইলিশের ঢেউ নিয়ে নেমে পড়ি দরজায়,
বুকে সাগর, সমুদ্র উড়াল দিয়েছে দক্ষণা বাতাসে।
সমস্ত আয়জনে সঞ্চিতা ম্যামের নাচের তালিম।
রাত গলে মম আলোয়।ঘড়ির শব্দে হৃৎপিন্ড বদল করে ইশ্বর।
কঁচি কলাপাতায় জ্যোস্না মাতে মিরাকল উৎসবে,
নুপুরের নিক্কনে বৃক্ষরা তখনও মানুষ প্রেমী।

উদ্ভিদ বন্দনা

পাল্টে যাবার আগে মাঝখানের ঘটনাই আলাপের নামান্তর।
শুনেছি, ওপাড়ার যুবকেরা লাল নিঃশ্বাসে উদ্ভিদের গণিত শেখায়।
বুকে টলোমলো অহংকার নিয়ে উদ্ভিদ ছায়ায়
আগুন নামক বুনো গন্ধে বৃষ্টি ও বাঁশির গার্হস্থ্য আঁকে।
প্রেমিকের ক্রমহ্রাসমান অলিখিত পথের রেখায়,
ডাহুকি কীটের অবদমিত বয়স কেঁপে ওঠে -
নীলজাভ শ্লেম্মায়।

কেবলি বুনে চলে চালতা বনের সন্তপ ঘূর্ণি

আগুনের রং এতই বিষাদ! নিভে গেলে সুখ আর সুখের মুখোশে কামড় বসায় কপিলা নগরীর আধাখাওয়া হৃদয়।
পদ্মকোরক লাল,নীল আশ্চার্য ধরে দ্রোপদীর চোখের পাপড়িতে জন্মদেয় হরিৎ উদ্ভিদের।

যেখানে সন্ধিরা খুলে খুলে পড়ে ব্যথাতুর সুরে।




(ঙ/এস/জুন২২,২০১৬)