গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :গোপালগঞ্জে উৎপাদিত পান দেশের বাইরে রফতানী হবে। আর সেজন্য উন্নত মানের রফতানীযোগ্য পান চাষ যাতে কৃষকেরা করতে পারে তার কলাকৌশল নিয়ে ২ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সালমোলেনা (ব্যাকটেরিয়া) মুক্ত, রফতানি যোগ্য পান উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থপনা বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষন কর্মসূচীতে ৮০ জন পানচাষী এ কর্মশালায় অংশ নেন। শুক্রবার ও শনিবার কাশিয়ানীর হর্টিকালচারাল সেন্টারে কৃষকদেরকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (রপ্তানি) মোহাঃ আনোয়ার হোসেন খান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ হরলাল মধূ, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল এন্ড এ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের এ্যাডভাইজার মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ও দৈনিক যুগকথা সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রসময় মন্ডল।

উল্লেখ্য, কাশিয়ানীর বেশ কয়েকটি গ্রামে আড়াইশ’ বিঘারও বেশী জমিতে কৃষকেরা পান চাষ করে থাকেন। এতদিন তারা স্থানীয় বাজার গুলোতে এসব পান বিক্রি করে আসছিল। আগামীতে এখান থেকে উৎপাদিত পান রাফতানির জন্য ঢাকায় চলে যাবে।



(পিএম/এস/জুন২৫,২০১৬)