বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক সহকারী শিক্ষিকার সনদ জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেও বিল পাশ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার এইচ এম জে কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনন্দা রানী হালদার ২০১০সালের প্রথম দিকে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসেবে যোগদান করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় সুনন্দা রানী ভূয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে এবং নিয়োগদানকারী কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান। সে অনুযায়ী ২০১০ সালের ১সেপ্টেম্বর প্রথম এমপিও ভূক্ত হন তিনি। যার ইনডেক্স নং-অঞ-১০৫১০৪০।

সুনন্দা রানী এই ইনডেক্স নম্বরের সুবাদে রূপালী ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার এইচ-১৫৪৬নং একাউন্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তিনি সরকারী কোষাগার থেকে প্রায় ৪লাখ টাকা তুলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হলে বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম সুনন্দা রানী ও প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র হালদারকে তলব করে ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার নিয়ে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম মোবাইল ফোনে বলেন, এক বছরের মধ্যে সনদ সংগ্রহ করে দিবে মর্মে অঙ্গিকার করায় সুনন্দা রানীর বেতন চালু রাখা হয়েছে। এক বছর পরে সনদ সংগ্রহ করতে ব্যার্থ হলে বেতন হিসেবে তুলে নেয়া টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি (ইউএনও) বলেন, সনদ সংগ্রহ করতে না পারলেতো চাকুরীই চলে যাবে, টাকা ফেরত নেয়ার আর প্রয়োজন হবেনা।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাশ চন্দ্র হালদার বলেন, সুনন্দা রানীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নেই। তবুও বিদ্যালয়ের সভাপতি শর্তসাপেক্ষে তার বেতন চাল ুরেখেছেন এ বিষয়ে আমি নিরুপায়।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা সুনন্দা রানী হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিবন্ধন সনদ নেই। আমি অনেক চাপের মধ্যে। ইউএনও স্যারের কাছে ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার করেছি দুই বছরের মধ্যে সনদ সংগ্র করে দিব। মানবিক কারনে আমার বর্তমান বেতন চালু রাখার অনুরোধে ইউএনও স্যার তাই করেছেন।

এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে জাল সনদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বেতন চালু রাখা আইন সিদ্ধ কিনা ?

(এসকে/এটিআর/জুন ০৮, ২০১৪)