২৬ জুন, ১৯৭১
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল হামিদ নাটোর সফর করেন
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ময়মনসিংহে হাবিলদার রেফাজউদ্দিন এক প্লাটুন যোদ্ধা নিয়ে মুক্তাগাছা থানা আক্রমণ করেন। থানায় প্রহরারত পুলিশের সাথে তুমুল সংঘর্ষের পর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তাগাছা থানা দখলে সমর্থ হয় এবং এতে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। এ সংঘর্ষে ৪ জন পুলিশ নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
কুমিল্লার সুবেদার ওয়ালীউল্লা কাফলাতলী রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেন। এতে কয়েকজন রাজাকার নিহত হয় ও ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে।
সিলেট-তামাবিল সড়কে শ্রীপুর নামক এলাকা শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে সুবেদার বি.আর.চৌধূরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। আক্রমণের পরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিছু হটে। এতে জাফলং থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে এসে যায়।
চিলির প্রেসিডেন্ট ড. সালভেদর আলেন্দে জাতিসংঘের মহাসচিব উ’থান্টের কাছে প্রেরিত পত্রে ভারত আশ্রয়গ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের দুঃখ-দুর্দশার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অবিলম্বে শরণার্থীদের সম্মানজনকভাবে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াত নেতা কুখ্যাত গোলাম আজম বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক পাকিস্তানের মর্যাদার ওপর আঘাত হেনেছে।’
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল হামিদ নাটোর সফর করেন। নাটোরের স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতারা জেনারেল হামিদকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘তারা বেঁচে থাকতে দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিযোদ্ধা) নাটোরে স্থান পাবে না।’
ভারতে আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৯শ’৯৮ জন।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/জুন ২৬, ২০১৬)