বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার নয়টি দেশের পর্যটন বিষয়ক প্রতিনিধিরা এদেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকাগুলো ঘুরে দেখছেন। এই ভ্রমণের অংশ হিসাবে ১৪ সদস্যদের এই প্রতিনিধি দলটি রবিবার থেকে দু’দিনের সফরে বাগেরহাট এসেছেন। প্রতিনিধি দলটিতে যুক্তরাষ্ট, চীন, নেপালসহ ৯টি দেশের ট্যুর অপারেটরা রয়েছেন। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পরেশনের ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তারা এসময় প্রতিনিধি দলের সাথে রয়েছেন।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা - ইউনেস্কো ঘোষিত ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাটে এসে প্রতিনিধি দলটি সকালে যান ষাটগম্বুজ মসজিদে। দিনভর বাগেরহাটে অবস্থান কালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ষাটগম্বুজ মসজিদসহ তৎকালীন ‘খলিফাবাদ’ নগর রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা খান-উল-আযম উলুঘ খান-ই-জাহানে মাজার এবং তার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। পর্যটন বিষয়ক প্রতিনিধিরা বাগেরহাটে ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন ও এখনকার পরিবেশ দেখে তাদের মুগ্ধতার কথা জানান।

প্রতিনিধি দলের সদস্য এ্যরমিনিয়া গাজয়ান (Armenia Ghazoyan) বলেন, ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাটে ভ্রমনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রথমেই আমি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। এটি আমাদের জন্য এটি বিশাল সুযোগ বাংলাদেশকে জানার। বাগেরহাটে ভ্রমণে সুবাদে আমারা ষাটগুম্বুজ মসজিদসহ এই অঞ্চলের বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ননিদর্শন দেখলাম।

আমরা সবসময় ইন্টারনেটেও এই সব নিদর্শণ নিয়ে খুব বেশি একটা তথ্য পাইনা। আমরা সকলেই মুগ্ধ হয়েছি এখানাকার স্থাপত্য শৈলি দেখে। আমরা বাগেরহাটের সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকাও ঘুরে দেখবো। আমি আবারও বাংলাদেশ আসবা এবং বাগেরহাট আসব। আমি সবাইকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাব। এখানার পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ। সবার আতিথেয়তা এবং মানুষের জীবনাচারণ সবাইকেই মুগ্ধ করবে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকাতারুজ্জামান কবির বলেন, সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের পর্যটন অঞ্চলগুলোকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এ উদ্যোগ। আশা করি এর মাধ্যমে বর্হিবিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নতুন ভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে এবং দেশের পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

(একে/এএস/জুন ২৭, ২০১৬)