পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুর এল.জি.ই.ডি’র সহকারী প্রকৌশলীর ভিজিটের কারণে পীরগঞ্জের ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ ও ঠিকাদারের যোগসাজসে সড়ক নির্মাণে ঘাপলা ধরা পড়েছে। উপজেলার চতরা শিশু ক্লিনিক থেকে কুয়াতপুর পর্যন্ত নির্মিত পাকা সড়কটির খোয়া-বালু উত্তোলন করে আবারো নির্মানের নির্দেশ দিয়েছেন ওই প্রকৌশলী।

সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুরের উন্নয়ন প্রকল্পের (আই.আর.আই.ডি.পি-২) অধীনে এবং এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে পীরগঞ্জের চতরাহাট থেকে কুয়াতপুর পর্যন্ত ১ কি.মি. সড়ক পাকাকরণ করা হচ্ছে। মেসার্স মশকুর রহমান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬৪০ টাকায় কাজটি করছে। কাজটির তদারকি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলতাব হোসেন ওই ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে সিডিউল না মেনে কাজ করে। সড়কটি পাকাকরণের আগে ১ কি.মি. সড়কে ১০ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু বালু এবং ৬ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু মিশ্রিত খোয়া ও বালু দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু খোয়া-বালু দেয়া হলেও ৪ ইঞ্চি বালু কম দিয়ে কার্পেটিংয়ের জন্য রোলারিং করা হয়। ৪ ইঞ্চি বালু কম দেয়ায় প্রায় ১০ লাখ টাকা ঠিকাদারের মুনাফা হতো বলে প্রকৌশল বিভাগের বিশ্বস্ত সূত্র জানায়। ওই মুনাফা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার ভাগাভাগি করে নিতো বলে সূত্রটি দাবি করে। সম্প্রতি রংপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আকতারুজ্জামান পীরগঞ্জের ওই সড়ক ভিজিটে এসে সড়কের কাজ টেস্ট করেন। টেস্টে বালু দেয়ার ক্ষেত্রে ঘাপলা করায় ওই সড়কের সম্পূর্ণ খোয়া-বালু উত্তোলন করে পুনরায় ১০ ইঞ্চি পরিমাণ বালু দেয়ার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী আকতারুজ্জামান বলেন- পদ্ধতিগত সমস্যা ছিল, তা ঠিক করতে বলেছি। অপরদিকে ওই কাজের ঠিকাদারের ছোট ভাই রাশেদুল ইসলাম বলেন- তদারকি কর্মকর্তার গাফিলতির কারণ আমার ক্ষতি হতে যাচ্ছে। প্রয়োজনে আইন করে আমরা বিল নেব। পুনরায় কাজ করবো না। তদারকি কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন- সিডিউলটি ঠিকভাবে না দেখায় ভুল হয়েছে। তবে ইঞ্জিনিয়ার স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান বলেন- বিষয়টি আমাদের, আমরাই সমাধান করবো। বিষয়টি নিয়ে পীরগঞ্জ এলজিইডিতে লুকোচুরি চলছে বলে জানা গেছে।

(জিকেবি/পি/জুন ২৯, ২০১৬)