বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে কৃষকের জন্য উত্তোলন করা সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে মেসার্স রাব্বি এন্টারপ্রাইজ নামের বিসিআইসির এক ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কৃষি বিভাগ।

শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানায় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বাদি হয়ে ডিলার বেগ মাহাফুজুর রহমান বাদলকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ ওই ডিলারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্টিজ কর্পোলেশন (বিসিআইসি) ডিলার বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজারের মেসার্স রাব্বি এন্টারপ্রাইজের মালিক বেগ মাহাফুজুর রহমান বাদলের নামে দুই দফায় ৮ জুন ১২ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৮ মেট্রিক টন টিএসপি ও ৮ মেট্রিক টন ডিএপিসার এবং ২৫ জুন ১২ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৪ মেট্রিক টন টিএসপি ও ৪ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব সানা সরেজমিনে ডিলারের গুদাম পরিদশর্নে যান। সেখানে গিয়ে উত্তোলন করা সার দেখতে না পেয়ে ডিলারের কাছে হিসাব চান। এসময় ওই ডিলার বরাদ্ধকৃত উত্তোলন করা সারের হিসাব দিতে পারেননি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব সানা বলেন, মেসার্স রাব্বি এন্টারপ্রাইজের মালিক বেগ মাহাফুজুর রহমান বাদল সার উত্তোলন করে নীতিমালা মেনে কৃষকের কাছে বিক্রি না করে বেশি লাভের আশায় কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সারের বিক্রির নীতিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) ধারা ও সার ব্যবস্থাপনা ২০০৬ সালের ১২ (৩) এর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সুত্রে জানায়, প্রভাবশালী সার ডিলার বেগ মাহাফুজুর রহমান বাদল চট্রগ্রাম থেকে সার উত্তোলন করে সেখানে বিক্রি করে দিয়ে আসেন। কখনও ওই সার বাগেরহাটে আনেন না। খুলনার শিরোমনি থেকে সার উত্তোলন করে সেখানেও সার বিক্রি করে দিয়ে নাম মাত্র তার গোডাউনে সার মজুদ রাখেন। তবে তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। তার অধীনে কয়েকজন সাব ডিলার নিয়োগ করে সরকারের বরাদ্ধকৃত সার উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে সার ডিলার বেগ মাহাফুজুর রহমান বাদলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

(একে/এএস/জুলাই ০১, ২০১৬)