গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন শেখসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গোপালগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গৌতম ঘোষের আদালতে অভিযুক্তদেরকে পুলিশ হাজির করে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আগামীকাল সোমবার রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলে কোর্ট পরিদর্শক মোঃ গোলাম কাদের মিয়া জানিয়েছেন।
এছাড়া ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডাক্তার লুৎফুন্নাহারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম ধর্ষিতা ঐ কলেজ ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
গতকাল শনিবার টুঙ্গিপাড়ার মধুমতি পর্যটন মোটেল থেকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী কোটালীপাড়া শেখ হাসিনা কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) নুর হোসেন তালুকদার জানিয়েছেন, মধুমতি পর্যটন মোটেলের বয়
জালাল মিয়া বরিশালের উজিরপুর থেকে টুঙ্গিপাড়ায় কর্মস্থলে আসছিলো। আসার সময় বাসের মধ্যে সে একই এলাকার লোক বলে ওই ছাত্রীর সাথে পরিচিত হয়। এক পর্যায়ে সে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু মাজার দেখানোর কথা বলে তাকে নিয়ে আসে। টুঙ্গিপাড়ায় এসে সে কাউন্সিলর লিটন শেখের সাথে বড় ভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। কাউন্সিলর লিটন তাদের দুপুরে খাবার খাইয়ে পর্যটন মোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে জালাল ওই কলেজ ছাত্রী ও কাউন্সিলরকে একটি রুমে (এসি-৩) ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে দেয়। সেখানে লিটন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই কলেজ ছাত্রী কৌশলে রুম থেকে বের হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ওই রুম থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন শেখ (৩২), জালাল মিয়া (২৬) ও আলীম বিশ্বাসকে (২৬) গ্রেফতার করে।
(এমএইচএম/এএস/জুন ০৮, ২০১৪)