মাদারীপুর প্রতিনিধি :ছয়জন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একশ দুস্থ্য প্রতিবন্ধী পেল ঈদের নতুন জামা ও খাদ্য সামগ্রী। নতুন জামা পেয়ে গরীব ও দুস্থ্য প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি দেখা গেছে।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সাংবাদিক আয়শা আকাশী তার ফেসবুক পাতায় দুস্থ্য ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ঈদের জামা দেয়ার কথা বলে একটি স্ট্যাস্টাস দেন। সেই স্ট্যাস্টাস দেখে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর গ্রামের ছেলে ইতালী প্রবাসী ওয়াদুদ মিয়া ওরফে জনি মিয়া এগিয়ে আসেন। তিনি ইতালী থেকে ব্যাংকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পাঠান। এরপর স্থানীয় দৈনিক সুবর্ণগ্রামের প্রকাশক ও সম্পাদক এবিএম বজলুর রহমান রুমি খানের নজরে আসলে তিনিও আর্থিক সহযোগিতা করেন।

ফেসবুকে স্ট্যাস্টাসে প্রতিবন্ধীদের ছবি দেখে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অহিদুজ্জামান খান বাবর উদ্ধুদ্ধ হন। তিনিও এগিয়ে আসে। পরে ফ্রেন্ডস অভ নেচারেরর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রাজন মাহমুদ ও তাহমিনা বেগম এগিয়ে আসেন। তাদের আর্থিক সহযোগিতায় একশ গরীব ও দুস্থ্য প্রতিবন্ধীদের মাঝে প্রতিবন্ধীদের সুবিধামতো ব্যবহারযোগ্য শাড়ি, থ্রিপিচ, শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, ফ্রক ও ঈদের সকালে রান্নার জন্য সেমাই, দুধ, চিনি ও কিসমিস দেয়া হয়।

শহরের পুরানবাজারের টুম্পা ইলেক্ট্র কর্ণারের সামনে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এমদাদুল হক, ব্যবসায়ি আলহাজ¦ কাজী বাশার, ফ্রেন্ডস অভ নেচারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রাজন মাহমুদ, তাহমিনা বেগম, নারী মুক্তিযোদ্ধা আয়শা বেগম, সাংবাদিক বেলাল খান, আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, বেলাল রিজভী, মেহেদী হাসান সোহাগ, সাব্বির হোসেন আজিজ, অজয় কুন্ড, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
বেবী আক্তার, মিম আক্তার, শাহজাহান, কমেলা বেগম, নতুবান বিবি, রমজান, শহীদ, কামালসহ একাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীরা জানান, আমরা প্রতিবন্ধী। তাই সমাজসহ পরিবারের কাছেও আমরা অবহেলিত। আমরা নতুন জামা কিনতে পারিনি। পুরাণজামাই আমাদের ঈদের সম্বল ছিলো। তাই এই নতুন জামা পেয়ে আমরা খুব খুশি।

উপস্থিত মো. এমদাদুল হক বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরা কিছুই বোঝেনা। তাদের ভাগ্যে নতুন জামা জুটে কিনা আমার সন্দেহ আছে। তাই এরাই নতুন জামা পাওয়ার যোগ্য। আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আশা করছি এভাবে সমাজের আরো অনেকেই এগিয়ে আসবেন।

(কেকে/এস/জুলাই০৪,২০১৬)

(কেকে/এস/জুলাই০৪,২০১৬)