বরিশাল প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে দক্ষিনাঞ্চলের উপকূলীয় জনপদ বরিশাল, পটুয়াখালি ও ঝালকাঠির বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঈদের আগে এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

পাশাপাশি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলবাসী দুঃসহ জীবনযাপন করছে। প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ায় ঈদুল ফিতরের আনন্দ ম্লান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এসব অঞ্চলে। পটুয়াখালীর পৌর এলাকার বেশ কিছু স্থান প্লাবিত হয়েছে, পাশাপাশি কলাপাড়া ও রাঙাবালি উপজেলার বেশকিছু গ্রামের বহু পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পরেছে। কলাপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাচ্চু মোল্লা জানায়, চাইয়া দ্যাহেন চারিদিকে পানি আর পানি। মনে হয় মোরা সাগরের মধ্যে বসবাস করি। সামনে ঈদ, হেই আনন্দ মোগো মনে নাই। পানির যন্ত্রণাই এহন মোগো তাড়াইয়া বেড়ায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগারে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। এর কারনে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের উপড় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। যার ফলে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে ভাড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, সঞ্চালনশীল মেঘমালার ফলে সৃস্ট লঘুচাপের প্রভাব কেটে না যাওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া বর্তমান অবস্থায় বিরাজমান থাকবে। আর জোয়ারের পানির উচ্চতা আরো ৩/৪দিন থাকতে পারে। অপরদিকে পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠি ও বরিশালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও জোয়ারে কীর্তনখোলা, কালাবদর, কারখানা, সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝালকাঠি ও বরিশাল শহরের নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, পাশাপাশি বরিশালের বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, ঝালকাঠির নলছিটিসহ বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসলি জমিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

(টিবি/পি/জুলাই ০৪, ২০১৬)