বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৭টি ব্যবসা প্রতিতষ্ঠান ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। এসময় আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অজ্ঞাত একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজারের কাপুড়েপট্টিতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত না নাশকতা তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসন। আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা দাবী করেছেন। পুলিশ দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আজ্ঞাত ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আব্দুস সালাম ব্যাপারী, আব্দুল আউয়াল ব্যাপারী, হাজী রফিকুল ইসলাম ও মিরাজ শেখের ছিট কাপড়, সরোয়ার হোসেন, হাসিবুর রহমান বাচ্চু ও হুমায়ুন তালুকদারের গার্মেন্টস। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওবায়দুর রহমান জানান, ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফেরার পথে বাজারের কাপুড়ে পট্টিতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায়। এসময় ওই মুসল্লিরা মসজিদের মাইক থেকে আগুন লাগার ঘোষণা দিলে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। আগুনে স্থান থেকে অজ্ঞাত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি কিভাবে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে এবং তার পরিচয় কি তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আগুনে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) স্বপন কুমার ভক্ত জানান, মোরেলগঞ্জ বাজারের কাপুড়ে পট্টিতে আগুনের খবর পেয়ে ভোর সোয়া চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সেখানে পৌছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে কাপুড়ে পট্টির ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়ে যায়। এসময় ওইখান থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে চেনা যাচ্ছে না। তদন্ত ছাড়া আগুনের সঠিক কারন এখনই বলা যাবে না।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছিট কাপড় ও গামেন্টস সামগ্রী পুড়ে অন্তত তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়রাও কেউ তার পরিচয় বলতে পারছেন না। ওই ব্যক্তি কেন ওইখানে এসেছিল তা জানতে এবং ওর পরিচয় নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে। পরিচয় জানা গেলে আগুনের সঠিক কারন জানা যাবে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, মিরাজ শেখ নামে এক ব্যবসায়ীর পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার সারা শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে তা চেনার উপায় নেই। সে এখানে চুরি করতে না আগুন নেভাতে এসেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছি। তাই আগুনের সঠিক কারণ জানতে সময় লাগবে।

(এসএকে/পি/জুলাই ০৫, ২০১৬)