মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : দেশব্যাপী জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রবিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা চত্বরে অনুষ্ঠিত জঙ্গি বিরোধী মানববন্ধন পরবতীর্  সমাবেশে বক্তারা বলেন-দেশের সর্বত্র আজ অশান্তি-অস্থিরতা, উৎকন্ঠা। গুলশান, শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিরা একের পর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ খুন করছে। জঙ্গিদের তৎপরতা থেমে নেই। যারা এসব কার্যক্রমের সাথে জড়িত তারা দেশ,মুসলমান ও বিশ্বমানবতার শত্রু। যেভাবেই হোক এ সব জঙ্গিদের অপতৎপরতা রুখতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা কোন ধর্মের বা দলের নয়। তারা ধর্ম, জাতি ও মানবতার শত্রু। অতর্কিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলা চালিয়ে মানুষ খুন করা কোন ধর্মই সমর্থন করে না। ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড- করে তারা ধর্ম, জাতি ও মানবতার শত্রু। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও আতঙ্কগ্রস্ত  রেখে পার্থিব সম্পদ অর্জন, ক্ষমতা দখল ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। ধর্মের নাম ব্যবহার করে যারা দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সজাগ হতে হবে। এদের চিহ্নিত করে দল মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে কঠোর হস্তে তাদের দমন করতে হবে। শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দেশব্যাপী জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে রবিবার ১০ জুলাই দুপুরে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি গোপাল দেব চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলীর পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ মনির, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, সনাকের সাবেক সভাপতি সাইয়্যিদ মুজিবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হরিপদ রায়, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এম এ রহিম, দৈনিক খোলা চিঠির সম্পাদক সরফরাজ আলী বাবুল, শ্রীমঙ্গল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার, শ্রীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি রহিমা বেগম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফাজ্জ্বল হোসেন ফয়েজ, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা প্রভাষিনি সিনহা, শ্রীমঙ্গল পৌর বিএনপির নেতা মোছাব্বির আলী মুন্না, ম্যাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এ হামিদ, শ্রীমঙ্গল পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক সুশীল শীল, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দীপেন্দ্র ভট্টাচার্য্য, তাজপুর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক অভিনাশ আচার্য্য, সাংবাদিক সৈয়দ আমিরুজ্জামান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট এহসান বিন মুজাহির, হেফাজতে ইসলাম শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদস্য সচিব মাওলানা এ.এ রহিম নোমানী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা জাসদের সভাপতি এলেমান কবীর, শ্রীমঙ্গল সনাকের সহ সভাপতি দিদার শাহিন, উদীচী শিল্পী গোষ্টির সাধারন সম্পাদক প্রনবেশ অন্তু চৌধুরী, উচ্ছ্বাস থিয়েটারের সম্পাদক নিতেশ সুত্রধর, বিজয়ী থিয়টারের তুহিন চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সমন্বয়কারী মলয় কুমার রায় (ভানু), বাসদ নেতা প্রীতম দাশ, ঔষধ সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম (ফুয়াদ), খেলোয়ার কল্যান সমিতির উপদেষ্টা মিলন দাশ গুপ্ত, ফারিয়ার সভাপতি দেবব্রত দত্ত (হাবুল), বাংলাদেশ টি স্টাফ এসোসিয়েসন এর সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কাউছার ইকবাল, মামুন আহমদ, সাইফুল ইসলাম,আব্দুল হাই ডন, আনোয়ার হোসেন জসিম, রুবেল আহমদ প্রমুখ। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন- উচ্ছ্বাস থিয়েটার, শ্রীমঙ্গল থিয়েটার, উদীচী শিল্পী গোষ্টী, সন্ধ্যানী শিল্পী গোষ্টী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, প্রান্তিক থিয়েটার, অঙ্গিকার সামাজিক ও সাহিত্য পরিষদ, সারগাম শ্রীমঙ্গল কন্ঠ শিল্পী কল্যান সংস্থা, বারিধারা শিল্পী গোষ্টী, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, থিয়েটার বিবেক, সম্মিলিত বাউল পরিষদ, ওয়াকার্স পার্টি, যুবমৈত্রী, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বৃহত্তর সিলেট আধীবাসি ফোরাম, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান পরিষদ। বিশাল মানববন্ধনে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনিতীক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

(এমএকে/পি/জুলাই ১০, ২০১৬)