ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শান্তির অন্বেষণ মানে সত্যের অন্বেষণ। আমাদের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা শান্তি চর্চা ও শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত।

শান্তি ও সংঘর্ষ শিক্ষা আমাদের দেশে দিনে দিনে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন সম্মেলন কক্ষে ‘১০ম ফাউন্ডেশন ডে বক্তৃতা-২০১৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. জাহিদ এ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। অনুষ্ঠানে ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দি রেডক্রস (আইসিআরসি)’ এবং ‘বাংলাদেশের শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক ১০ম ফাউন্ডেশন ডে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আইসিআরসির উপ-প্রধান ডারকো জরদানভ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মারিয়া হোসেন।

উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং সারগর্ভ, আলোকিত ও উৎসাহব্যঞ্জক ফাউন্ডেশন ডে লেকচার প্রদান করায় ডারকো জরদানভকে ধন্যবাদ দেন।

উপাচার্য বলেন, ‘সততা, নম্রতা, ভদ্রতা, স্বচ্ছতা, মর্যাদা, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, চিন্তা ও বাক-স্বাধীনতার মাঝেও শান্তি নিহিত রয়েছে। শান্তি হচ্ছে আশা, শান্তি হচ্ছে সাহস, শান্তি হচ্ছে সৌন্দর্য, শান্তি হচ্ছে নিরাপত্তা, শান্তি হচ্ছে একতা, শান্তি হচ্ছে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, শান্তি হচ্ছে স্বাধীনতা, শান্তি হচ্ছে মুক্তি, শান্তি হচ্ছে দায়বদ্ধতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালে রেডক্রস থেকে আমরা ব্যাপক সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছি। বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের যেকোন দুর্যোাগ মোকাবেলায় রেডক্রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রেখেছে।’

আইসিআরসি’র উপ-প্রধান মি. ডারকো জরদানভ আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় তার সংস্থার বিশ্বব্যাপী যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এবং পরবর্তীতে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় এদেশে আইসিআরসির মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা ও অন্যান্য কর্মকা- সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন। এ ছাড়া, শান্তি রক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পিচ কিপিং মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক কেক কেটে বিভাগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

(ওএস/এস/জুন ০৮, ২০১৪)