লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর-আড়িয়ারা গ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে ১৫ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অব্যাহত ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় গোটা গ্রামজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউপির চর-আড়িয়ারা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে গত ১০ জুলাই নুর ইসলাম নিহত হয়। এঘটনায় ইদ্রিস শেখ বাদি হয়ে ৫৮ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫,তাং ১১/০৭/২০১৬। মামলা দায়েরের পর ওই গ্রামে সার্বক্ষণিক পুলিশের প্রহরা বসানো হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে ওই গ্রামের শুকুর মোল্যার ছেলে নজরুল মোল্যার নেতৃত্বে ইদু,ওহিদ,এরশাদ,সুজন,হাসিব,সাগর শেখসহ ২০/২৫ জনের একটি দল সেলিম শেখ,ডাবলু শেখ,লাবলু শেখ,বাবু শেখ,করিব শেখ,হান্নান শেখ,শওকত মৃধা, হান্নান মৃর্ধা,বদির মোল্যা,সুজন শেখ,আমানত শেখ,আনিচুর মোল্যা,হাবিবুর মৃর্ধা,হিমায়েত ও নান্নু মৃর্ধার বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে স্বর্ণ, নগদ টাকাসহ ব্যবহ্নত মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

সুজন শেখের স্ত্রী পারভিন বেগম,ডাবলু শেখের স্ত্রী আন্না বেগম,শওকত মৃধার স্ত্রী সাজেদা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন,‘ হত্যাকাণ্ডের পর নজরুল মোল্যার নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ধারাবাহিক ভাবে ১৪/১৫ টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে নগদ টাকা,স্বর্ণ ও গরুসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শিমুল দাস জানান,হত্যাকাণ্ডের পর কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বিপ্লব সাহা পুলিশের উপস্থিতিতে ভাংচুর ও লুটপাটের কথা অস্বীকার করেছেন । তবে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


(আরএম/এস/জুলাই১৪,২০১৬)