রাত্রি যাপন


নিজেকে তিন তলার ব্যালকানিতে বসিয়ে রেখে
রাতের অন্ধকারে চুপিচুপি নেমে আসি
পেয়ারা গাছের তলার ঝুপঝুপে কালোয়
পাতার গন্ধে হারিয়ে যাওয়া সময়ের
হদিস পাই...
ফাঁকে ফাঁকে হ্যালোজেনের কুচি
নড়েচড়ে বেড়ায়
গভীরে যাওয়ার সুতোয় তখন জট!

গীঁট খোলা আর বন্ধের খেলা শেষ হলে
ফিরে আসি
ঘুমন্ত শরীরটাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে
আবার বেরিয়ে পড়ি
সূর্যের সন্ধানে।


উপমা

বাবা বলত শিউলি
যার ফোটার আগেই ঝরার তাড়া
কেউ বলত গোলাপ
যার পূজোর ঘরে ঠাঁই নেই
কাঁটাদের রাঙতায় মুড়ে
ভালবাসার স্মারক হয়,
একরাশ ক্লান্তি নিয়ে বাসর জাগে
পুড়ে ছাই হত চিতায়।
তারপর কত ফুলের উপমায়
নিরবে শুকিয়ে গেছে রক্তের দাগ
হাসির প্রচ্ছদে
অবোধ্য ভাষা।

এক নির্জন দ্বীপের দুষ্প্রাপ্য গাছ
আজ পারিজাত চিনিয়ে দিল।






(এসএকে/এস/জুলাই১৫,২০১৬)