ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাট এলাকায় বাসর ঘরে প্রদীপ কুমার বর্মন(১৮) নামে এক বরের মৃত্যু হয়েছে।

বাস্তভিটা দেবী মনষা(বিশহরী)’র ঘরের সামনে প্রাণ ফিরে পাবার আশায় ৪ ঘন্টা ধরে ঝাড়ফুক করেও কোন লাভ হলো না বর-বাড়ীর লোকজনের।

এদিকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় বরের বাড়িতে এলাকায় হাজারও মানুষের ভীড় জমতে শুরু করেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের বিনয় চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র রায় পাশের ছুট খড়িবাড়ি গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র বর্মনের কন্যা প্রতীমা রানীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বৃহষ্পতিবার সারাদিন বৌভাত শেষে রাত ৪টার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও কনে বাসর ঘরে যায়।

শুক্রবার সকাল নয়টা অবধি বর ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবারের লোকজন দেখতে পায় প্রদীপ মারা গেছে।পরে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবার-পরিজন প্রদীপের মৃত্যুকে না মেনে সেটা বিশহরী দেবীর কাজ ভেবে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে পূজা ও ঝাঁড়ফুক শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজন লাশের হাতে-পায়ে তেল মালিশ চালাতে থাকে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে লাশ নিয়ে চলে এই টানা হেঁচড়া।

কনে প্রতীমা রানী স্বামীর প্রাণ ফিরে পেতে লাশের পাশে বসে মা কালির কাছে স্বামীর প্রাণ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে চলছে।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করি।তিনি বলেন,বৌভাতের রাতে বর হার্টএট্যাক করে মারা যায়,এটি স্বাভাবিক মৃত্যু।মৃতের অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

(এফআইআর/এস/জুলাই১৫,২০১৬)