ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।

রবিবার সন্ধ্যার আগে ঈশ্বরদী বাজারের এক নম্বর গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে মোটর সাইকেল বহরে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপ। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু সমর্থিত এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে অপরপক্ষ।

এরআগে দুপুরে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে ওই সংবাদ সম্মেলনের বিপক্ষে আলেঅবাগ মোড় হতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল মিছিল বের করা হলে হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এসময় প্রায় ২২টি ককটেল দু’গ্রুপের সমর্থকরা বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় প্রগতি রেঁস্তোরা, প্রাইম ব্যাংক ও রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকান ভাংচুর হয়।

সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আহুত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু এই হামলার ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দায়ী করে জানান, শান্তিপূর্ণ মোটর সাইকেল বহরে নগ্ন হামলায় ২৫/৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, গত ১৪ই জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে শুরু করতেই সংগঠনের অভ্যস্তরে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও অন্যান্য দেশী অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে আক্রমণ করে। অথচ উনারাই আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট নির্লজ্জ বক্তব্য দিয়ে ঈশ্বরদীবাসীকে বিভ্রান্ত করছে।

সম্মেলনে এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় শ্রমিক নেতা রশীদুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তাফা চান্না, অর্থ সম্পাদক সাদেক আলী বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক জুলমত হায়দার, যুবলীগ নেতা রাজীব হায়দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলাউদ্দিন বিপ্লবসহ আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোটরসাইকেল বহরে হামলা প্রসংগে ইসহাক আলী মালিথা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে আমরা জানিনা। মিথ্যা দোষ চাপানো হচ্ছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাদশা মারিথা হামলায় আহত হয়ে রাজশাহীতে স্থানান্তর করার ঘটনা সম্পূর্ণই মিথ্যাচার।

মূলত তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়।




(এসকেকে/এস/জুলাই ১৮,২০১৬)