দেবাশীষ বিশ্বাস(বালিয়াকান্দি)রাজবাড়ী :রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সবগুলো ইউনিয়নের কৃষি জমিতে পাট চাষ হয়। এবার পাটের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের দুচিন্তার নাম পানি। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় পাট নিয়ে বিপাকে পরেছে বালিয়াকান্দির কৃষকেরা।

প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুমে বালিয়াকান্দি উপজেলার বিস্তর মাঠ বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুই মাসের মত থাকে। এ সময় কৃষকেরা ক্ষেত থেকে পাট কেটে বিলের পানিতে পাট পচানোর ব্যবস্থা করে থাকে। ক্ষেতের সাথেই বিলের পানি থাকার কারনে কৃষকদের শ্রম অনেক কম লাগে।

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না থাকার কারনে কৃষকেরা পাট কাটতে পারছে না যার ফলে জমিতেই পাট মরে যাচ্ছে। পাটের বিচ বপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত যে খরচ হবে তাতে ক্ষতির মুখে পরবে বালিয়াকান্দির কৃষকেরা।

বালিয়াকান্দি উপজেলারর জামালপুর ইউনিয়নের শ্রীকান্ত মন্ডল বলেন আমি আমার জমির কথা বলছি যেখানে জমির মূল্য ধরছি না, সেক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ জমিতে সাধারণত ৬-৭ মণ পাট উৎপাদন হয় যার মোট উৎপাদন খরচ দাড়াবে ৮০০০/= (আট হাজার টাকা) টাকা। যদি বিলের পানিতে পাট পচানো থেকে ধোয়া না যায় তবে উৎপাদন খরচ আরো ৩০০০/= (তিন হাজার টাকা) টাকা বেড়ে যাবে সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ১১০০০/= (এগারো হাজার টাকা) টাকা এবং মণ প্রতি বাজার মূল্য ১৬০০/= টাকা থেকে ১৯০০/=। তিনি আরো বলেন বর্গাচাষীরা ইতমধ্যেই কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে।

প্রাণেশ বিশ্বাস বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় খাল-এবং নদীতে ভরা মৌসুমে যে পানি আছে সেখানে গিয়ে পাট পচানো সম্ভব নয়। কেন সম্ভব নয় এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ক্ষেত থেকে খালের দূরত্ব প্রায় এক থেকে দুই কিলোমিটার যেখানে কোন যানবাহন চলে না। আর বিলের পানি থাকলে দূরত্ব হত ১০০ অথবা ২০০ ফুট।

তিনি বলেন আমাদের প্রকৃতির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দিতে হবে, শীতের সময় এখন আর শীত পরে না, বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড রোদ। তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে যেসব মাঠ আবদ্ধ সেখানে পানি রাখার ব্যবস্থা করতে না করলে হুমকির মুখে পরবে বালিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকেরা।






(ডিবি/এস/জুলাই ১৯,২০১৬)