টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :গোপালপুরের মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতার নাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গোপালপুর মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম। মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজটিকে জাতীয়করণের অনুমোদন দেয়া সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল খন্দকার জাহাঙ্গীর আলমের মাতা মেহেরুন্নেছার নামানুসারে “মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজ” নামকরণ করা হয়। কলেজটি জাতীয় করণের জন্য অনুমোদিত হওয়ার পর থেকেই গোপালপুর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, পরিচালনা পরিষদ ও একটি স্বার্থাণ্বেষী মহল “মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজ” এর প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

কুচক্রীমহলটি যাতে করে মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজটি জাতীয় করণ না হয় সে জন্য কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তৎকালিন স্থানীয় এমপি আব্দুস সালাম পিন্টুর নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। “মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজ” প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই বিধি মোতাবেক স্থানীয় এমপি সভাপতি থাকেন। তেমনি আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজের সভাপতি পদে ৭ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। এর পর ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে খন্দকার আসাদুজ্জামান উক্ত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন। খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপির দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শেই ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়।

ইতিমধ্যে কলেজটি ¯স্নাতক পর্যায়ে উন্নিতকরণ করা হয়। ২০০৮ সালে খন্দকার আসাদুজ্জামান পুর্নরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর সহধর্মিনী কুলছুম জামান গত ৭ বছর যাবত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সঠিক দিকনির্দেশনায় মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজটি অল্পদিনেই টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম সেরা কলেজ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি ও সুখ্যাতি অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে নারী শিক্ষার বিকাশ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নের অগ্রদূত মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজটি জাতীয়করণে গোপালপুরবাসীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক মো.এমরান হোসেন, মো. রুহুল আমিন, খন্দকার আব্দুল ওয়াদুদ, সুকুমার ভট্রাচার্য প্রমুখ।


(এমএনইউ/এস/জুলাই ২০,২০১৬)