স্টাফ রিপোর্টার :টঙ্গীর চেরাগআলী কলেজগেটের জেএমবি’র আস্তানায় অস্ত্র চালানো, বোমা তৈরির প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন জঙ্গিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে জানিয়েছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। 

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে একই দিন ভোর চারটার দিকে চেরাগআলী কলেজগেট এলাকার জেএমবি’র ওই আস্তানায় অভিযান চালায় ৠাব সদস্যরা। এ সময় সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলের আমিরসহ চারজনকে আটক করে হয়।

আটকরা হলেন- জেএমবি’র দক্ষিণাঞ্চলের আমির এবং ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান, আশিকুর আকবর আবেশ, নাজমুল সাকিব এবং শরীয়ত উল্লাহ শুভ।

মাহমুদ খান জানান, জেএমবি’র কার্যক্রমকে সুসংঘটিত করার জন্য এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে বাসাটি ব্যবহারের জন্য তারা এক মাস আগে বাসাটি ভাড়া নেয়। এখানে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে আট থেকে ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। যেমন- শারীরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ, বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ ও আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ।

তিনি আরো জানান, আটক মাহমুদুল বোমা তৈরিতে পারদর্শী ছিলো। তার বাসা সিরাজগঞ্জ জেলায়। সে অনেক আগে থেকেই জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়। এসআই ইব্রাহিম হত্যা ও হোসনি দালানে বোমা হামলায় যারা সম্পৃক্ত ছিল তারা মাহমুদুলের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলেও জানান তিনি।

মাহমুদ খান বলেন, আটক আবেশ বেশ কয়েক বছর ধরে জেএমবির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। সে রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফাস্ট এইড সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকতো এবং চিকিৎসা দিতো সে।

‘শুভ যশোরের এমএম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং সাকিব একটি মাদ্রাসার ছাত্র। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ঢাকায় এসেছিলো’, যোগ করেন তিনি।




(ওএস/এস/জুলাই ২১,২০১৬)