আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):আদালতের নির্দেশে অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বরিশালের আগৈলঝাড়া থানায় ধর্ষণের মামলা রের্কড করা হয়েছে। বুধবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.আব্দুল হক খান ধর্ষিতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে  বৃহস্পতিবার ধর্ষিতাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করলে  ওই দিনই তার ডাক্তারী পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাঘিরপাড় গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে একই গ্রামের আমরী মন্ডলের ছেলে শশীকর কলেজের ছাত্র দুলাল মন্ডল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭জুলাই ধর্ষণ করে। প্রথমে ধর্ষিতার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও ওসি অজ্ঞাত কারণে মামলা নিতে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে। পরে ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে ১৩ জুলাই বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যার এমপি নং- ৯৪/১৬। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন। বিচারক ৫৫২ নং স্মারকে ১৪ জুলাই আগৈলঝাড়া থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে অবশেষে মঙ্গলবার রাতে আগৈলঝাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত) ৯(১)/৩০ ধারায় ধর্ষণ মামলা রের্কড করেন। যার নং-৭ (১৯-৭-২০১৬)। ওসি মনিরুল ইসলাম মো. আব্দুল হক খানকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন।

এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ভাট্রির সভাপতিত্বে ১৬ জুলাই ৭ সদস্যর গ্রাম্য শালিশ বোর্ডের সদস্যরা নিজেরা আর্থিক লাভবান হয়ে প্রহসনের শালিশ বৈঠকে ধর্ষিতার ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করেন ১লাখ ৩০হাজার টাকা। তবে ওই টাকা ধর্ষিতার পরিবার হাতে পায়নি।

প্রভাবশালীদের প্রহসনের সালিশ বৈঠকের পর ধর্ষিতাকে হুমকির মুখে তার মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। একারণে তাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করতে দেরী হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল হক খান।


(টিবি/এস/জুলাই ২১,২০১৬)