২২ জুলাই, ১৯৭১
'রাজাকাররা যেকোনো লোককে গ্রেফতার করতে পারবে'
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে তার মূল লক্ষ্য দেশ উদ্ধার। সেদিন দূরে নয় যেদিন আমাদের প্রিয় মাতৃভ’মি সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হবে।’
৭নং সেক্টরে নায়েব সুবেদার মবাছারুলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল মীরগঞ্জ রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ আক্রমণে ৫ জন রাজাকার নিহত হয় এবং রাজাকারদের মীরগঞ্জের সাথে চরঘাটের টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাথরঘাটার ৫/৬ মাইল পশ্চিমে বাশাইল থানার কাছে পাকহানাদারদের একটি টহলদার দলকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করে। এ আক্রমণে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও ১ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে এবং নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মিয়া মোহাম্মদ তোফায়েল করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের প্রতি এই মর্মে দাবি জানান, আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য গোলযোগে অংশ নিয়েছিলেন, সেসব সদস্যের আসন বাতিল করে গত নির্বাচনে যারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন সেসব আসনে তাদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করতে হবে।
ঢাকায় পাকিস্তান সামরিক শাসক ১৫৭,১৫৮ এবং ১৫৯ নং সামরিক আদেশ জারি করে। এ আদেশে দালাল রাজাকারদের যে কোনো লোককে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল মুজাফফর হাসান চট্টগ্রামে নৌসেনাদের উদ্দেশে বলেন, নৌবাহিনী আরো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালীর কালিতারা বাজারে জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট সায়েদুল হকের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা ও দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/জুলাই ২২, ২০১৬)