পিতা
[ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ]


তোমার স্বপ্নরা সত্য।
স্বাধীন জগত সৃষ্টি ক'রে ক'রে হেঁটে যায়
হিমালয়---সুন্দরবন---বাংলা সাগর পার হয়ে
মানুষের চোঁখ থেকে চোঁখে---
বুক থেকে বুকে---
পৃথিবীর বেদনার ওপর তোমার মুক্ত প্রসারিত হাত
প্রকৃতির নির্ভরতা।
রক্তের ভেতর তুমি এক নির্ঘুম রক্ত পতাকা
আত্মার গভীরে তুমি, নির্ঘুম পিতা


শীতের চিঠি
---------
শীতের চিঠি, পেয়েছে আমার শরীর।
চোখের ওপর হিম, শাদা রাত্রি
প্রতিটি অক্ষর, একটি একটি গোপন দরোজা
প্রত্যেকে ঢু'কে যেতে পারে
অতীতে
ভবিষ্যতে
বৃক্ষের ভেতর
ঘাসের ভেতর
সূর্যের ভেতর দিয়ে উড়ে যাওয়া পাখিদের কাছে
সবুজ অনুবোধের কাছে---
বসন্তের উৎসবে

অপার্থিব
.....
ভেঙে যাওয়া ডিমের গলিত কুসুমের মতো রক্তপাত ঘটেছিলো
---আত্মার ভেতর
জেগেছিলো তরল জীবন
সবুজের সম্ভাবনা
হৃদপিণ্ডের দৃষ্টিকে দিব্য ক'রে তুলেছিলো তারা
আমার চোঁখ দুটোর চেয়ে বীজময় এবং আশ্চর্য-রকম উর্বর এই উৎসব
আমাকে দেখালো, মাতৃগর্ভ---কোনো ছায়া ছিলোনা
আমাকে দেখালো, অন্তর্গত গুহা
---অদ্ভুত আদিম নীল আবরণে ঢাকা বিস্ময়ের গভীরতা
অতপর, মৃত্যুর গভীর খু'লে আমাকে দেখালো তার মুখ


প্রতিকৃতি : ২১ আগস্ট ২০০৪
.........
বোমার গর্জন আর ধোঁয়ার ঘন পায়ে নেমে আসে রাত্রি
ডেথ্ গুলিস্তান।
পল্টনের পথে পথে স্তব্ধতার চিৎকার---
লাশের ভেতর থেকে ছড়িয়ে পড়ে হরতালের অনির্দিষ্ট কাল
থামে এ্যাম্বুলেন্সের জরুরি চাকা
নেমে আসে লাশের মিছিল
জড়ো হতে থাকে হাসপাতালে
---মৃত্যুর আবহাওয়া
আমার নিরস্ত্র চোঁখ দু'টি ভাঙা কবরের মতো
তাকিয়ে থাকে---
তাকিয়ে থাকে---
চারপাশে মৃত্যু আর মৃত্যু...
আমি এক অসমাপ্ত লাশ!
---গভীর নিশ্চলতায়
নিস্তব্ধতার বিপন্ন নিসর্গে আমি এক ভীত, পঙ্গু
আমি এক দুঃখজনক সমতল
বেঁচে আছি নির্বিকার
---আমার হৃদয়, ক্রমাগত সংকোচিত---বিলুপ্ত প্রায়

চোঁখ দু'টি খু'লে ফেলে দিয়ে




অবসর
.......
গভীর নির্জনতায় ভরা
বিরামহীন সময়।
সবুজ আবহাওয়ার
ওখানে অদ্ভুত কিছু লোক
তাদের আকৃতি নেই
একজন আরেকজনকে ঘৃণা করবার কোনো চোঁখ নেই
মাটির নিসর্গের ভেতর দ্রবিভূত।
জীবন অবচয়ের কোনো ব্যথা নেই