নিউজ ডেস্ক : পাখির মুক্তভাবে খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো কিংবা মিষ্টি কন্ঠে গান মানুষকে সবসময়ই বিস্মিত করে।

যেসকল পাখি কথা বলতে ও গান গাইতে পারে তাদের প্রতি আমাদের সবারই এক বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। গান গাওয়া পাখির সংখ্যাও কম নয় এ পৃথিবীতে, তবে বেশ ভালো কিছু কন্ঠশিল্পী রয়েছে এদের মধ্যে। চলুন একটু দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর সবথেকে পটু পাঁচ গায়ক পাখির পরিচয়।
১। ক্যানেরী-

পৃথিবীর অন্যতম সুরেলা এক গায়ক পাখির নাম ক্যানেরী। বহু শতাব্দী ধরেই গান গাওয়ার জন্য বেশ সুনাম রয়েছে ছোট্ট আকৃতির এ পাখির। স্পেনের নাবিকদের দ্বারা প্রথম ক্যানেরী স্পেনে আসে। ওদের নামকরণ করাও হয়েছে স্পেনের ক্যানেরী আইসল্যান্ড থেকে। পূর্বে মূলত ধনী ব্যাক্তিদের শখ হিসেবেই পরিচিত ছিল ওদের। মিষ্টি কন্ঠের গান দিয়ে মানুষের মনে বেশ ভালো আনন্দের তৈরী করে এ পোষা পাখি।
২। গোল্ডফিনচ-

রঙিন এ পাখিটিও বেশ ভালো গান গাইতে পারে। পুরুষ গোল্ডফিনচটি বেশী রঙিন তবে পুরুষ স্ত্রী দু'জনেই চমৎকার গান করে। দেখতে সুন্দর হওয়ায় পোষা পাখি হিসেবে খুব চাহিদা রয়েছে ওদের। সামাজিক পাখিও বলা হয় নর্থ আমেরিকান এ পাখিকে। বেশ দলবদ্ধ হয়েই খাবার সংগ্রহ করে ওরা। সব পেট স্টোরেই পাওয়া যায় ওদের তাই বেশ সহলভ্যই বলা চলে গোল্ডফিনচকে।
৩। প্যারাকেট-

ছোট্ট এ পাখিটির গান খুব সহজের মনে ধরবে আপনার। 1891 সালে আমেরিকাতে আবিষ্কৃত এ পাখি বেশ অল্প জায়গায়ই বেড়ে ওঠতে পারে । তাই খুব সহজেই পোষ মানানো যায় ওদের। সবুজ হলুদসহ অনেক রংয়ের হতে পারে এ পাখি। ওরা দলবদ্ধ হয়ে খাবার সংগ্রহ করতেই বেশী পছন্দ করে। পোষা পাখি হিসেবে সুনাম রয়েছে ওদের।
৪। ককটেইল-

গায়ক পাখিদের মধ্যে অন্যতম ওরা। ক্যানারী ও গোল্ডফিনচ থেকে আকারে বড় অস্ট্রেলিয়ান এ পাখির কন্ঠ বেশ মিষ্টি। ওদের শরীরে ক্রেস্ট রয়েছে, যখন ওরা উত্তেজিত কিংবা ভয় পায় তখন ক্রেস্টটি ফুলে ওঠে। প্রায় ১৫টিরও বেশী রংয়ের হতে পারে এ পাখি। ককটেইল কথাও বলতে পারে ভালো। ঠিকমতো প্রশিক্ষন দিলে সুন্দর গান গাইতে ওরা যা নিঃশন্দেহে মনে ধরবে আপনার।
৫।আফ্রিকান গ্রে-

মাঝারি আকারের এ পাখির দাম যেমন বেশী তেমনি পোষ মানাতেও সময় লাগে অপেক্ষাকৃত বেশী। বেশ বড় খাঁচা প্রয়োজন ওদের। মূলত সাদা ও কালোর মিক্সড রংয়ের হয়ে থাকে গাঢ ধূসর চোখের এ পাখি। দু হাজারেরও বেশী শব্ধ বলতে সক্ষম এ পাখির গান নিঃশন্দেহে আকৃষ্ট করবে আপনাকে।

(ওএস/এটিঅার/জুন ০৯, ২০১৪)