লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে রির্টানিং ও নির্বাচন অফিসারের ষড়যন্ত্রের কারণে সংরক্ষিত আসনে  বিজয়ী প্রার্থীকে গেজেটের মাধ্যমে পরাজিত করায় ওই প্রার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ৫ম ধাপে গত ২৮ মে মল্লিকপুর ইউপি নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনে হাসনা বেগম কলম মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন হামিদা ও হোসনেয়ারা বেগম।
অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ফলাফলে, হাসনা বেগম ১১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। অথচ,গত ১১ জুলাই প্রকাশিত গেজেটে বিজয়ী প্রার্থী হাসনা বেগমের পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হামিদা বেগমকে বিজয়ী হিসেবে নাম প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় হাসনা বেগম ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত হয়ে পড়েন।

এ ব্যাপারে হাসনা বেগম উপজেলা রির্টানিং ও নির্বাচন অফিসার এটিএম শামীম মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করেন। উপায়ন্ত না পেয়ে হাসনা বেগম গত ১৮ জুলাই বাদী হয়ে নড়াইল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৮ জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হামিদা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম, উপজেলা রির্টানিং ও নির্বাচন অফিসার এটিএম শামীম মহামুদ, জেলা নির্বাচন অফিসার, সচিব বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঢাকা, প্রিজাইডিং অফিসার এস,এম, তরিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ও হুমায়ুন কবির। মামলা নং- ০২। তাং ১৮-৭-২০১৬।

এ ব্যাপারে হাসনা বেগম গতকাল শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারী ভাবে আমাকে বিজয়ী করা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচনের কাজে জড়িত কর্মকর্তাদের কারসাজিতে গেজেটের মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আমি মামলা করেছি।’

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওই ইউপির দায়িত্ব প্রাপ্ত রির্টানিং অফিসার এটিএম শামীম মাহমুদ আদালতে মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন, আইনগত ভাবে মামলার মোকাবেলা করা হবে।




(আরএম/এস/জুলাই ২২,২০১৬)