নিউজ ডেস্ক : চারুকণ্ঠের ত্রৈমাসিক আবৃত্তি আয়োজন ‘বিনম্র রোদের ছায়া’ অনুষ্ঠিত হলো শুক্রবার ২২ জুলাই ২০১৬। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনারকক্ষে। এ পর্বের কবি ছিলেন মজিদ মাহমুদ।

চারুকণ্ঠের সদস্যবৃন্দ আবৃত্তি করেন মজিদ মাহমুদের বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে বেশ কিছু কবিতা। এর মধ্যে কবির বহুল পঠিত কাব্যগ্রন্থ ‘মাহফুজামঙ্গল’ থেকে পরিবেষণ করা হয় ‘শূন্যতা’ ‘মাহফুজা’ ‘ফেরে না মানুষ’ ‘কেমন আছেন’; ‘বল উপাখ্যান’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘বনসাই’ ‘অব্যক্ত কান্নার গান’; ‘আপেল কাহিনী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘আপেল কাহিনী’ ‘পরিপ্রেক্ষিত’; ‘ধাত্রী ক্লিনিকের জন্ম’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’।

বিশেষ পর্বে বিভিন্ন সংগঠন থেকে আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীদের মধ্যে স্রোত আবৃত্তি সংসদের আজিম রানা আবৃত্তি করেন ‘পুত্র’ ‘দেবী’ ’একদিন আসবে দিন’ ও ‘সাপ’ কবিতা। মুক্তধারা সংকৃতি চর্চা কেন্দ্রের আবু তাহের আকাশ আবৃত্তি করেন ‘গাছ জীবন’ ‘বাবা’ ‘কুরশিনামা’ কবিতা।এছাড়া চারুবণ্ঠ আবৃত্তি সংসদের তাবাসসুম মুন্নী ও স্বননের হাসান মেহেদি লাল্টু বেশি কিছু কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। সবশেষে কবি মজিদ মাহমুদ তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি নাসির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন চারুকণ্ঠের সভাপতি অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী।নাসির আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘তার কবিতা উপলদ্ধি করতে হয়, নিমগ্নতা দিয়ে পড়তে হয়। তিনি কেবর সমকালিন নন, বাংলা কবিতার মধ্যেও আলাদা কবিতা লেখেন।…তার কবিতায় রাজনীতি নেই বলে অনেক ভুল করতে পারেন। অথচ তিনি প্রবলভাবে রাজনীতি সচেতন কবি; তার কবিতায় প্রবলভাবে সমকাল আছে।কিন্তু সে সমকাল শ্লোগানের পর্যায়ে না থেকে সান্কেকিতা নিয়ে হাজির হয়েছে; রূপক প্রতীকের ব্যবহারও তার কবিতায় প্রবল।’

আবৃত্তি শিল্পে আমরা দেখি, পুরানো দিনের এবং যা ইতোমধ্যে আবৃত্তিশিল্পে জনপ্রিয় হয়েছে, ঘুরেফিরে কেবল সেইসব কবিতা পরিবেষণ করা। এই অবস্থায় চারুকণ্ঠের এই আয়োজন বেশ প্রশংশনীয়। কবিতার জয় হোক।

(ওএস/এএস/জুলাই ২৩, ২০১৬)