কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৭ ঘন্টা পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতের টানা ভেসে যাওয়া কলেজ ছাত্র প্লাবন আহমেদের (১৯) লাশ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার সকাল ছয়টায় সৈকত থেকে এক কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে লাশটি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে।

গত শুক্রবার দুপুরে বন্ধু নেওয়াজের সাথে গাড়ির টিউব (লাইফবয়া) নিয়ে সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতের তোড়ে বয়া থেকে হতি ফসকে সে গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয় জেলে পর্যটক, ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও ফায়রা সার্ভিস কর্মীরা সাগরের বিভিন্ন মোহনায় তাঁর সন্ধান করলেও লাশ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জেলেদের ধারণা, সাগরে ভাটার টানে প্লাবনকে গভীর সমুদ্রে টেনে নিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করা যায় নি। শনিবার ভোরে জোয়ারে আবার লাশুটি ভেসে আসে এবং সাগরে ফেলা জালে আটকা পড়ে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মীর ফসিউর রহমান জানান, মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের পুত্র প্লাবন তার বন্ধু নেওয়াজের সাথে শুক্রবার দুপুরে সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুজির পর শনিবার সকালে জেলে নুরুজ্জামানের জালে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়। নিহত প্লাবন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

কলাপাড়ার মহিপুর থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, নিহত কলেজ ছাত্রের পিতা মোশারফ হোসেন কোন আইনী পদক্ষেপ না নেয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই প্লাবনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্লাবনের লাশ মাগুরার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

(এমকেআর/এএস/জুলাই ২৩, ২০১৬)