কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে কুড়িগ্রামের মানুষ। নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাকা ও কাঁচা সড়ক ডুবে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও ধরলার নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারি হিসেবে ৯টি উপজেলার ৫৩টি ইউনিয়নের ৬২ হাজার পরিবারের সাড়ে ৩০০ গ্রামের আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে আট, ধরলায় ২৫, তিস্তায় পাঁচ এবং দুধকুমারে ১৬ সেন্টমিটার পানি বেড়েছে।

বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে দুই দিন ধরে গরু ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল স্রোতের টানে ভেসে গেছে অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি। রাস্তা, গুচ্ছগ্রাম এবং বাঁধে আশ্রিতদের সংখ্যা বাড়ছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন সংকটের পাশাপাশি বেড়েছে পশুখাদ্যের সংকট। কৃষি বিভাগের মতে, প্রায় ১৮ হাজার কৃষকের এক হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ২০০৭ সালের পর কোনো বন্যায় পানি এমন উচ্চতায় ওঠেনি। গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় ২০০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।



(ওএস/এস/জুলাই ২৫,২০১৬)