নিউজ ডেস্ক : আজ ২৫ জুলাই, সোমবার। শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সংগঠক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪০ সালের এ দিনে তিনি কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। সত্তরের দশকের শেষদিকে অধ্যাপক সায়ীদ প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। এ কেন্দ্র পরিচালিত মূলত বই পড়া কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের হাজার হাজার স্কুলপড়ূয়া ছাত্রছাত্রীকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করছেন।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন কামারগাতি গ্রামে। তার বাবা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। মায়ের নাম করিমুন্নেসা। বাবার শিক্ষক হিসেবে অসামান্য সাফল্য ও জনপ্রিয়তা শৈশবেই তাকে এ পেশার প্রতি আকৃষ্ট করে।

তিনি ১৯৬১ সালে শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ব্যক্তিত্বের প্রায় সবগুলো দিক সমন্বিত হয়েছে তার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক সত্তায়। 'আলোকিত মানুষ চাই'_ সারাদেশে এ আন্দোলনের অগ্রযাত্রী হিসেবে প্রায় তিন দশক ধরে তিনি রয়েছেন সংগ্রামশীল। ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয়, তিনি ছিলেন তার নেতৃত্বে।

বাংলাদেশে টেলিভিশনের সূচনালগ্ন থেকে মনস্বী, রুচিবান ও বিনোদন-সক্ষম ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। টেলিভিশনের বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় তিনি পথিকৃৎ ও অন্যতম সফল ব্যক্তিত্ব। নানা ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সাহিত্যচর্চায় নিবিষ্ট। কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, নাটক, অনুবাদ, জার্নাল, জীবনীমূলক বই ইত্যাদি মিলিয়ে তার গ্রন্থভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২৭টি। সামাজিক আন্দোলনে উদ্যোগী ভূমিকার জন্য তিনি দেশব্যাপী অভিনন্দিত। ডেঙ্গু প্রতিরোধ আন্দোলন, পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ নানা সামাজিক আন্দোলন তার নেতৃত্বে প্রাণ পেয়েছে।

অধ্যাপক সায়ীদের সারাজীবনের পোশাক পাজামা-পাঞ্জাবি। এখন পর্যন্ত তিনি একুশে পদক, র‌্যামন ম্যাগস্যাসে, জাতীয় টেলিভিশন, বাংলাদেশ বুক ক্লাব পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

(ওএস/এএস/জুলাই ২৫, ২০১৬)