নড়াইল প্রতিনিধি :  নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে স্থায়ী বন্ধ্যাকরণে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে এ টাকা পওয়ার দাবি করে গ্রাহকরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক, নড়াইলের উপপরিচালক, জেলা প্রশাসক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (২৫ জুলাই) পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক লোহাগড়ায় এসে এর তদন্ত করেন। এদিকে দুদকও এর তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কোন দম্পতি স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি গ্রহণ করলে তাঁকে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ টাকা পাননি এমন ৩২ জন নারী পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারী দিঘলিয়া ইউনিয়নের সারল গ্রামের ছিনারী বেগম জানান, এ কাজে টাকা পাওয়া যায় তা জানা ছিল না। পরে জানতে পেরে অফিসে বার বার ধরণা দিয়ে টাকা আদায় করতে পারিনি। আরেক অভিযোগকারী কুমড়ি গ্রামের পলি বেগম বলেন, অফিসে ধরণা দিলে অফিসের লোকজন বলেছেন এসব টাকা কোনোদিন দেওয়া হয় না। অভিযোগকারীরা জানান, মনোয়ার হোসেন তাপস সবার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে মনোয়ার হোসেন লোহাগড়ায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা পদে ছিলেন। বর্তমান তিনি যশোরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক।

বিএমএ এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নড়াইল জেলার সভাপতি। তাঁর বাড়ি লোহাগড়ায়। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর কর্মকালীন সময়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। অভিযোগ রয়েছে, তাঁর কর্মকালীন সময়ে স্থায়ী বন্ধ্যাকরণে অধিকাংশ গ্রহাকদের টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন তাপস জানান, আমি সম্পূর্ন নির্দোষ। আমার সাথে ষড়যন্ত্র করছে অফিসের কিছু লোক। বিশেষ করে জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম জাফরী আমার খ্যাতি নষ্ট করার জন্য এ ঘৃণিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।








(টিএআর/এস/জুলাই ২৬,২০১৬)