পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর জেলার কাউখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিকদার একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভারতের কল্যাণঘর যুদ্ধ শিবিরে পিকে পাংগুলির নিকট প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ৯নং সেক্টরে দীর্ঘ ৯মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে অথচ জীবিত অবস্থায় আবু বক্কর সিকদার তার মুক্তিযোদ্ধার গেজেটে দেখে যেতে পারেননি। তিনি ২০১২ সালের ১৮ফেব্রুয়ারি তার প্রিয় মাতৃভূমি রেখে পরলোকে চলে যান।

আবু বক্কর সিকদারের সন্তানদের আক্ষেপ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেও তাদের পিতা কেন গেজেটে অর্ন্তভূক্ত হতে পারলেন না। তাই সন্তানরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা কমান্ড, উপজেলা কমান্ড ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পিতার নাম গেজেটে অর্ন্তভূক্ত করানোর জন্য যাতে করে তাদের পিতার আত্মা শান্তি পায় আর তারা পায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের স্বীকৃতি, আর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্করের অসুস্থ স্ত্রী পায় মুক্তিযোদ্ধার ভাতা যাতে হতে পারে তার চিকিৎসা ও বেঁচে থাকার ব্যবস্থা।

মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ আবু বক্কর সিকদারের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কে তার সহযোদ্ধা গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এনামুল হক, মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, মোঃ শফি হোসেন জানান, আবু বক্কর আমাদের সাথে একসাথে যুদ্ধ করেছে।

আমাদের নাম গেজেটে ভূক্ত হলেও তার নাম গেজেটে না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাউখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদ সাইদ বলেন, মৃত আবু বক্কর সিকদার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

আবু বক্করের ছেলে আনসারের পি.সি. মামুন সিকদার জানান, আমার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এই স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আমার যুদ্ধ চলবে।

(এআরবি/এএস/জুলাই ২৬, ২০১৬)