ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ-১১, ভালুকা আসন থেকে তিন তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ চৌধুরীর নামাজে জানাজা সোমবার বাদ জোহর ভালুকা ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভালুকা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তার বাবা মার পাশে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।

তার নামাজে জানাজায় বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, গফরগাঁওয়ের সাবেক এমপি ফজলুর রহমান সুলতান, গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি সিদ্দিকুর রহমান, ভালুকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র ডা. এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুূম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জিয়া ব্রিগেড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেনসহ কয়েক হাজার মুসল্লি জানাজায় শরিক হন।
মরহুমের কুলখানী আগামী ২০ জুন শুক্রবার বাদ জুমা তার ধামশুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, আমানউল্লাহ চৌধুরী গত শনিবার মধ্যরাতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি প্রায় এক বছর ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
এর আগে রোববার সকালে নয় পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের প্রথম জানাজা, বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লজায় দ্বিতীয় জানাজা ও বাদ এশায় পুরান ঢাকার কায়াতটুলী মসজিদে তৃতীয় জানাজঅনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শরীক হন।
তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ (১৫ ফ্রেরুয়াারি) সালে বিএনপির দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একজন নিবেদিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন সদালাপী, অর্থ ও পেশীশক্তি বিরোধী মনোভাবাপন্ন ছিলেন। তার স্ত্রী বেগম রাহিজা খানম ঝুনু একুশে পদক ও নৃত্যগুরু মাতা হিসেবে খেতাব প্রাপ্ত।
(এসইএস/এএস/জুন ০৯, ২০১৪)