নারীর নাম নদী

এই পথ মিশে যায় নদী জল অথৈ সমুদ্দুর
সূর্যালোকে জলস্তম্ভ যেন এক পাহাড় প্রাচীর।
প্রশ্নের শাসন ভাঙে অতঃপর ছুটে চলে ভয়
তবু ভয়ে বুক কাঁপে কেন যেন মানে না শাসন।
সব কিছু মনে হয় পড়ে আছে অজ্ঞাত আড়ালে
অচেনা বাতাস ছোঁয় সাঁই সাঁই শরীরের ভাঁজ...
মায়াবী চোখের জলে জন্ম নেয় অপলক নদী
জলকষ্ট জলমেয়ে আহারে নারীর নাম নদী।



একটি উজ্জ্বল ঘোড়া

পায়ে হেঁটে ক্রমাগত রাতের আকাশে
সবুজ মেঘের সিঁড়ি বেয়ে
একটি উজ্জ্বল ঘোড়া নেমে এলো বুঝি!
ক্রমশ ঘোড়াটি নাচে চোখের গুহায়।
ভীষণ প্রলুব্ধ ক’রে অশুভ আত্মারা
অন্ধকার অক্টোপাসে মৃত্যু বাসা বাঁধে...

মধ্যরাতে অশ্বক্ষুর দ্বন্দ্বে নিরন্তর
জলন্ত চিতায় দেখি মৃত্যুর নোঙর।



শূন্য থেকে শূন্যতায়

সমস্ত শরীরে প্রার্থনার পরশ পেয়ে
রাতকানা রাজহাঁসগুলো
ছুঁয়েছে নিরন্তর স্তব্ধতাকে।

জ্যোৎস্নার আড়ালে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে হাসতো
কপোতাক্ষ জলের শান্ত সেই মেয়ে। এখন সে
স্বপ্নের বুকে মাথা রেখে কান পেতে শোনে
অন্ধকারে বৃষ্টির শব্দ...

স্বপ্নীল মায়ার অবাধ চোখের সেই মেয়ে
চেতনার চূড়ায় লাজুক নূপুর পায়ে,
নিবিড় জ্যোৎস্নার ভেতর হেঁটেছিলো
শূন্য থেকে শূন্যতায় ভেসে।


(ওএস/এএস/জুলাই ২৭, ২০১৬)